ভারপ্রাপ্তর সম্পাদক :
www.nabiganjerdak.com
www.tribute71.com
নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তোহিদ চৌধুরী প্রতিপক্ষের লোকের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী (২৫)কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানাযায় সাংবাদিক তোহিদ গত শুক্রবার রাতে শহরের হাসপাতাল রোডের সেন্ট্রাল প্লাজায় ঔষধ কিনতে আসেন। এসময় আগ থেকে পরিকল্পিত ভাবে উৎ পেতে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুমআহমেদের নেতৃত্বে একদল বখাটে যুবকদের হামলা সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী গুরুত্বর আহত হন। আহত তৌহিদ চৌধুরীকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা ও ভর্তি করান। ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাকে হাসাপাতালে গিয়ে দেখে আসেন এবং তার খোজ খবর নেন। হামলার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই জাহাঙ্গীর আলমসহ একদল পুলিশ হাসাপাতে গিয়ে আহত খোজ খবর নেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদে আইননের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থার আশ্বাস প্রদান করেন।আহত তৌহিদ চৌধুরী বলেন,দেবপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার পুত্র মাসুম আহমদ জীবন,গুলডুবা গ্রামের আরিফ হাসান,হরিধরপুর গ্রামের বদরুল আলম,ফয়ছল আহমদ ও টুনাকান্দি গ্রামের নাইম আহমদসহ ১৫/২০ জনের একদল দূর্বত্ত তার উপর পরিকল্পিত হামলা করেছে।এসময় হামলাকারী তার কাছে নগদ অর্থ মোবাইল ফোনসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন- ১৫ বছর যাবত বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মীরা রাজপথে আছে। মানুষের ভোটের অধিকার ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দখলদার আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। পুলিশ দিয়ে হামলা, মামলা আর গ্রেফতার করে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি ঘরে ফিরবে। সভায় এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন বলেন- মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেফতার করে জি কে গউছকে দুর্বল করা যাবে না। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রশাসনের জুলুম নির্যাতনে জি কে গউছের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জি কে গউছ এখন বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, জি কে গউছ এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছে। ইনশাআল্লাহ, একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই জি কে গউছ হবিগঞ্জের এমপি হবেন, আরও বড় দায়িত্ব পালন করবেন। এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অধিকাংশ জেলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন হচ্ছে। কিন্তু যে কয়েকটি জেলায় পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করে, হামলা করে, গুলি বর্ষণ করে এর মধ্যে হবিগঞ্জ একটি জেলা। কারণ আওয়ামী লীগ জানে, সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই জি কে গউছ এমপি হবেন। হবিগঞ্জে জি কে গউছের আকাশচুম্মি জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভালোবাসা দিয়ে, উন্নয়ন দিয়ে, সততা দিয়ে জি কে গউছ মানুষের হৃদয় জয় করেছে। আওয়ামীলীগের জুলুম নির্যাতন যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে জি কে গউছের জনপ্রিয় ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসমর্থন জি কে গউছের পক্ষে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গেছে, মানুষ আর তাদের কথা বিশ্বাস করে না। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহŸায়ক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট হাজী নুরল ইসলাম ও হাজী এনামুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান ফারছু, সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য এম জি মোহিত, আজিজুর রহমান কাজল, শামছুল ইসলাম মতিন, গীরেন্দ্র চন্দ্র রায়, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা জাসাসের আহŸায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সভাপতি এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমু আক্তার চৌধুরী, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক মিজানুর রহমান সুমন, জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, লিটন আহমেদ, বজলুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম মেরাজ, কামাল খান, মামুন আহমেদ, আব্দুল হান্নান, হারিছ মিয়া, গোলাপ খান, ইলিয়াছ আলী, আনিসুর রহমান জেবু, ইকবাল আহমেদ, সাজিদ মিয়া, বাদল আহমেদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাজ্জাক চৌধুরী বকুল, আব্দুস সালাম, আনোয়ারুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আলকাছ মিয়া, মুশলিম শাহ, সৈয়দ রুহেব হোসেন, মালেক শাহ, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট ইলিয়াছ, শেখ ওসমান গনি, আব্দুল কাদির, মজনু মিয়া, এম ডি দুলাল, মানিক মিয়া, জয়নাল মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, যুবদল নেতা মহসিন সিকদার, দুলাল মিয়া, হোসাইন আহমদ রানা, নরোত্তম দাস, সাদেকুর রহমান লিটন, সাইদুর রহমান শামিম, তারেক আহমেদ তাহির, মোঃ নুরুল আমিন, কাওছার আহমেদ, শামিম আহমেদ, এমদাদুল উল্লাহ খান, মোঃ আদব আলী, মহিবুল হক সুমন, মিজানুর রহমান আলমগীর, আক্কাস ভান্ডারী, সোহাগ হোসাইন, জাহাঙ্গীর মিয়া, মিলন মিয়া, সুমন, স্বপন মিয়া, মোঃ কাসেম, শ্রমিক দল নেতা রতন আনসারী, আব্দুল খালেক, শেখ রহমত আলী, আশরাফুল আলম সবুজ, আনিস মিয়া, আক্তার মিয়া, আব্দুল হামিদ, হাসান আলী, জেলা ছাত্রদল নেতা জনি আহমেদ, রুকন আহমেদ, রুবেল আহমেদ, মুরাদ আহমেদ, রাব্বি আহমেদ, মোজাক্কির হোসেন ইমন, শেখ রাসেল, ফয়জুল ইসলাম ইব্রাহিম, মাহফুজ চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, জাবের আহমেদ, সৈয়দ মোবারক, শিমুল আহমেদ, জাসাস নেতা ফজর আলী ফজল, এমদাদুল হক লিটন, মহিলা দল নেত্রী নুরজাহান বেগম, আফরোজা চৌধুরী, আমিনা আক্তার ও নাজমা আক্তার প্রমুখ।
হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি আগামী ৩ বছর দায়িত্ব পালন করবে। কমিটিতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরীকে সভাপতি ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক একেএম মইন উদ্দিন চৌধুরী সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এছাড়াও মোতাহের হোসেন বিজু, বিপ্লব রায় চৌধুরী, সফিকুজ্জামান হিরাজ, হাজী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, মোঃ আব্দুর রউফ মাসুক সহ-সভাপতি, আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সল, মোঃ বদরুল আলমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ডাঃ মোঃ ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ মানিক মিয়া, মহিবুর রহমান মাহীকে সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজাহান মিয়াকে ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক, আশরাফ উদ্দিনকে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক, আরিফ ফয়সল খান ও আহমেদ ইবনে মুশফিককে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্র বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গেল বছরের ১১ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের পার্শ্ববর্তী জোয়াল ভাঙ্গা হাওর ও আশপাশ এলাকা থেকে জমি চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার মেশিন চুরির হিড়িক পড়েছে৷ গত এক মাসে ওই এলাকা থেকে পাওয়ার টিলার মেশিন সহ প্রায় ১৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ আশংকা জনক হারে বেড়েছে মেশিন ও গরু চুরি। চোর চক্রের দৌরাত্বে প্রায় অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকগন। এতে স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চোর আতংক বিরাজ করছে৷ এঘটনায় জমি চাষাবাদে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে বলে কৃষরা জানিয়েছেন৷ জানাযায়, ওই উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের কৃষক আবজল মিয়া ও কল্যাণ পুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাইয়ূম জানান, গত ৩১ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় তাহারা জমি চাষাবাদ শেষে তাদের পাওয়ার টিলার মেশিন দু'টি জমিতেই প্রতিদিনের ন্যায় রেখে যান, পরদিন সকালে এসে দেখেন তাদের মেশিন দু'টি চুরি হয়ে গেছে৷ অনেক খোঁজাখুজির একপর্যায়ে গোপন সূত্রে তারা খবর পান কুর্শি গ্রামের আমীর উল্লার পুত্র ছইফুল মিয়ার নেতৃত্বে একই গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া গংরা মিলে এই পাওয়ার টিলার মেশিন দু'টি নবীগঞ্জ শহরের সালামত পুর আবাসিক এলাকায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাহেব আলী নামের ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দিয়েছে৷ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সময়ে পাওয়ার টিলার মেশিনের মালিকগণ ও কুর্শি এলাকার শ্রমিক নেতা জয়নাল মিয়া সহ আরো অনেকেই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাহেব আলীর নিকট চলে যান বিষয়টি সম্পর্কে জানতে,তবে তাদের উপস্থিতি আচ করতে পেরে সুচতুর সাহেব আলী চম্পট দেয়, তবে তার জনৈকা স্ত্রী বিষয়টি স্বীকার করে এ বিষয়ে তার স্বামীর কোনো দোষ নেই বলে চোরদের সাথে তার স্বামী ও তার মোবাইল ফোনালাপের রেকর্ড শুনান৷ এসময় রেকর্ডটি সংরক্ষণ করা হয়৷ অপরদিকে পাওয়ার টিলার মেশিন চোরেরা এখবর জানতে পেরে বিগত ১২ দিন ধরে আত্মগোপনে চলে যায়৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, ছইফুল গংরা একটা বিরাট চক্র, কৃষকদের পুকুরের মাছ চুরি সহ এহেন কোন অপকর্ম নেই যে তারা করেনা। কিছুদিন পর পরই কুর্শী হ্যাচারি কমপ্লেক্সের পুকুর থেকেও মাছ চুরি হয়ে থাকে। ধারনা করা হয় এই চক্রই চুরি করে থাকে। প্রাণের ভয়ে কেও তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ইতিপূর্বে এই চক্র অনেকগুলো চুরির ঘটনা সংগঠিত করেছে। কেহ যদি মূখ খুলে তাদেরকে তারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে থাকে। তাই প্রাণ ভয়ে কেও কথা বলার সাহস পায় না। কৃষক আব্দুল কাইয়ূম বলেন, আমাদের হাওর থেকে বিগত ১ মাসে এভাবে আরো প্রায় ১০/ ১৫টি পাওয়ার টিলার মেশিন চুরি হয়েছে৷ এর নেপথ্যে রয়েছে এই চোর চক্র ও ভাঙ্গারি ব্যবসার আড়ালে এসব চোরদের আশ্রয় পশ্রয় দিচ্ছে সাহেব আলীর মতো আরো অনেক অসাধু ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়দের যে কোন বাড়ি থেকে জিনিস পত্র চুরি হওয়া জিনিস পত্র কিনে সেগুলো দিয়ে অবৈধ ভাঙ্গারী ব্যবসা করায় এলাকার চুরের উপর্দপও বাড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা। এসব ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ও চোরদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক অভিযান চালানোর দাবী জানান এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার সহ চোরদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷
নবীগঞ্জ সাবরেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক বিভূ আচার্য্যের নতুন ব্যক্তিগত অফিস শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ বাজার শেরপুর রোডে লাইটেস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হরে কৃষ্ণ চক্রবর্তীর সাবেক (দোকান) ও জনতা ব্যাংকের এজিএম শুভাশীষ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দলিল লেখার নতুন ব্যক্তিগত অফিস শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শফিকুজ্জামান শিপন, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাদিকুর রহমান শিশু, করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু, বাউসা শাহ বাড়ি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ মোঃ ছালিক মিয়া, বিশিষ্ট সমাজসেবক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব অনর উদ্দিন চৌধুরী জাহিদ, নবীগঞ্জের বিশিষ্ট সালিস বিচারক মোঃ কাওছার আহমদ, বাউসা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক মোতাওয়াল্লী আলহাজ তৈয়ব উল্লা। এতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি শেখ শাহনুর আলম ছানু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব আহমেদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ মাও. মোশাহিদ আলী, নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার রায়, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ আব্দাল করিম, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া, সাংবাদিক মুরাদ আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা অঞ্জন পুরকায়স্থ, নবীগঞ্জ থানার এস আই অনিক, বিএনপি নেতা সোহেল আহমেদ রিপন, মাদারল্যান্ড আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর উদ্দিন আহমদ, মন্টু আচার্য্য, মতিলাল আচার্য্য, বিধান আচার্য্য, রতন আচার্য্য, শ্যামাপদ চন্দ, সাবেক কমিশনার প্রানেশ দেব, জয়ন্ত দাশ, পল্টু দাশ সামন্ত, নীলকন্ঠ দাশ সামন্ত নন্টি, জিতু মিয়া সেন্টু, ডিডরাইটার আব্দুর রকিব শিপন, অসীম বনিক, স্বপন বিশ্বাস, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক রায়েছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা সবুর মিয়া, যুবদল নেতা ওলিউর রহমান, হামিদুল হক শিপন, কৃষক দলের যুগ্ম আহব্বায়ক মঞ্জুর রহমান সোহেল, শিপন আহমেদ চৌধুরী, ইউপি সদস্য বাছিতুর রহমান চৌধুরী, ইউপি সদস্য বাবলু আহমেদ, ইউপি সদস্য অজিত সূত্রধর, মনসুর আহমেদ চৌধুরী, মোর্শেদ আলী সবুজ, শাহ লিমন আহমদ, আবাছ আলী, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, বিধান পাল, দুলাল দাশ, রুবেল রায়, গুরুপদ দাশ ময়না, নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী মুন্না, সুশেন আচার্য্য, রজত দাশ, সুকান্ত চন্দ, বাবলু দাশ, লায়েছ মিয়া। সময় স্বল্পতার কারনে অনেক প্রিয়জন, শুভাকাঙ্ক্ষী, ব্ন্ধুবান্দব ও সম্মানিত গ্রাহকগনকে বলতে না পারায় তিনি আন্তরিকতা ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নতুন অফিসে আসার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
সুইডেনে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় কড়া নিন্দা জানিয়েছে নবীগঞ্জ পৌর যুবদল।মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীককে অপমান একটি জঘন্য কাজ বলে মনে করে পৌর যুবদল। শুক্রবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া এই নিন্দা জানান।গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পৌর যুবদল নেতারা বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কোরআন অবমাননা ও প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালিগালাজ কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না।এই জঘন্য ঘটনা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে চরমভাবে আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় সমগ্র মুসলিম বিশ্বের অন্তরে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, ‘সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমরা জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।কিছুদিন পরপর মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাতের দায়ে সুইডিশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নবীগঞ্জ পৌর যুবদল।