নবীগঞ্জ উপজেলা দীঘলবাক ইউনিয়নের স্বস্থিপুর গ্রামের ফ্রান্স প্রবাসীর ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাহমান আজিজের মাতা আনোয়ারা বেগমের মালিকানা জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে জানাযায় উল্লেখখিত মহিলার মালিকানা শস্তিপুর মৌজার ৩৩৪৭ দাগের খতিয়ান নং ১৩৬১ জেল নং ২৩ এর ১৩ শতক ভুমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার দীঘলবাক ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজান সাজু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মদরিছ মিয়াও মকলিছ মিয়াগংদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে আনোয়ারা বেগম তার জমি দখল করতে বাঁধা প্রদান করিলে তাকে ও তার সাথে থাকা লোকজনকে জায়গা থেকে সরে না গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হমুকি দেয় শাহজান সাজু। এসময় সাজু, মকলিছ, মদরিছ মিয়া অকথবাসায় গালাগালি লাঠিসোঁটা নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।পরে আনোয়ার মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন তহশিলদার আশরাফুল ইসলাম তারেক ও ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এএস আই সৌরাব হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলার তথ্যের ঘটনা সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র আগামীকাল উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান করেন।
অসংখ্য গর্তে ভরপুর নবীগঞ্জের কাজীগঞ্জ বাজার টু মার্কুলীর সড়ক যেন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে গাড়ি। ঝুঁকি আর দুর্ভোগ এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী কয়েক হাজার মানুষের নিত্যসঙ্গী। কাজীগঞ্জ বাজার টু মার্কুলির ১৭ কিলোমিটার সড়ক এমন বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। এতে চরম ভোগান্তি আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সড়কটিতে চলাচল করছেন উপজেলার হাজারো মানুষ। সড়কের অবস্থা যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী সিএনজি, ইজিবাইক ও মালবাহী বিভিন্ন ধরনের ট্রাক, পিকআপ, মোটর সাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ শত শত গাড়ি চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে প্রতি নিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনাও। বিকল হচ্ছে যানবাহন। কয়েক দফায় গর্তের ভাঙন মেরামত করা হলেও বিগত বছর খানেক যাবত সড়কটির বিভিন্ন অংশের খানাখন্দ বেড়ে সড়কটি এখন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে বৃষ্টিতে আরও বাড়বে সড়কের ভাঙন। এতে চরম ভোগান্তি বাড়বে হাজারো মানুষের। সরেজমিনে দেখা যায়, কাজীগঞ্জ বাজার হতে মার্কুলী পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন অংশে বেহালদশার কারনে মানুষের চলাচলের অনিহা প্রায়। রাস্তার এ কারণে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে গাড়ি আনতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার মানুষ ও সবধরণের পরিবহণ। সিজিল মিয়া নামে একজন জানান, প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। পূর্ব বড় ভাকৈর ও পশ্চিম বড় ভাকৈর ইউনিয়ন এর বাসিন্দাদের একাধিক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে সড়কটির যে বেহাল দশা তাতে রিকশা, সিএনজি বা যে কোনো পরিবহনে উঠতেই ভয় হয়। কখন কোথায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এমনকি জরুরি মুহূর্তে কোন রোগী নিয়ে উপজেলা শহর বা জেলা শহরে যেতে হলে অনেক সময় পরিবহণ মেলানো দায় হয়ে পড়ে। সিএনজি চালক মুজাক্কির মিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে নবীগঞ্জ ও জেলা শহরে যাওয়া আসা করতে হয় আমাদের। দুর্ভোগের পাশাপাশি সড়কের গর্তের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয় বেশী। এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে মোবাইল ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালানোর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তিনি অন্যতম আসামী।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে গত ৯ জানুয়ারী হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল অন্যতম আসামী। রোববার তিনি হবিগঞ্জ শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল। গজনাইপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ভূয়া নাম দিয়ে কোটি টাকার চাল আত্মসাৎ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করলে গজনাইপুর ইউনিয়নের ভিজিডি কর্মসূচির ১১৮৫ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ২২৯ জন সুবিধাভোগীর চাল গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল আত্মসাৎ করেন মর্মে প্রশাসনের তদন্তে উঠে আসে। তালিকায় এক নাম একাধিকবার, মৃত একাধিক ব্যক্তির নাম, কোনো কোনো গ্রামে হিন্দু পরিবার না থাকলেও দেয়া হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূয়া নাম, তালিকায় ছেলের নাম হিন্দু পিতার নাম মুসলমান দিয়েও আত্মসাত করা হয় চাল। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকার চাল আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় ২০২০ সালের (৭ জুলাই) স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফা আইনি লড়াই করে চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাননি। সুস্পষ্ট ভাবে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় উচ্চ আদালত বরখাস্তের আদেশ বহাল রেখে মামলা নিষ্পত্তি করেন। ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গজনাইপুর ইউনিয়নে দুর্নীতির দায়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন ইমদাদুর রহমান মুকুল। ওই নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে মুকুলের নিয়ন্ত্রাধীন এলাকার ৩টি ভোট সেন্টার থেকে ৫ জনকে আটক করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনের পর-পর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ২০২৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করেন ইমদাদুর রহমান মুকুল। নির্বাচনে চরম ভরাডুবি হয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় মুকুলের।
নবীগঞ্জ উপজেলার ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নের উত্তর রামলোহ গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী গ্রেটার ম্যানচেষ্টার আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল রশিদ সেকুলের বিরোদ্ধে তার আপন ভাইয়ের সকল জায়গা জমি বাড়িঘরসহ দখল ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি নিজের দলীয় পরিচয় গোপন করে গত ৩০ই মার্চ দেশের বাড়িতে আসেন। বর্তমানে অবস্থান করে সকল ভাই বোনের সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল করার পরিকল্পনা অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশকে ভূল তথ্য দিয়ে বাড়ির মহিলাদের উপর হয়রানীর অভিযোগ করেন তার আপন ভাই শামীম আলী। ইতিপূর্বে ওই আব্দুর রশিদ সেকুল আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে জোর পূর্বক ভাবে স্থানীয় দুষ্ট লোকের মাধ্যমে ভাই বোনের সকল সম্পত্তি তিনি জোর পূর্বক নিজে ভোগ দখল করেন। বর্তমানে শামীম আলী যুক্তরাজ্য অবস্থান করচ্ছেন। তিনি কিছুদিনের মধ্যে দেশে এসে তার মালিকানাজায়গাসহ পৈতিক সম্পত্তির জন্য আইনের আশ্রয় নিবেন। শামীম আলী সৈরাশাসক আওয়ামীলীগের দূসর তথ্য গোপনকারী যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুর রশিদ সেকুলের বিরোদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান ।
জুলাই-আগষ্টের পট-পরিবর্তনের পর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন’কে সামনে রেখে নবীগঞ্জ-বাহুবল নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে শুরু হয়েছে গুরু শিষ্যের লড়াই। দীর্ঘদিন ধরে তৃর্ণমুল পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য গুরু আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া’র সাথে এবার দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে প্রাণপন চেষ্টা করছেন শিষ্য সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী। বিষয়টি এখন নবীগঞ্জসহ ওই আসনের সর্বত্র টক অব দ্যা টাউন হয়ে দাড়িয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এক সময়ে সাবেক এমপি গুরু শেখ সুজাত মিয়ার হাত ধরে কেন্দ্রীয় বিএনপির হেভিয়েট নেতাদের সান্নিধ্যে যাওয়া সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলাদা বলয় তৈরী করে শেখ সুজাত মিয়াকে বেকায়দায় পালানোর চেষ্টা করছেন। নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ জাতীয় সংসদ সদস্য পদটি ঘিরে। সেই এমপি পদটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে এবার মাঠে চলছে গুরু ও তার শিষ্যের লড়াই। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা গুরুর জনবিমুখ ও একই সাথে সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিষ্যের জনমুখো হওয়া নিয়ে হিসেব কষছেন সাধারন জনগন। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে উভয়ের কর্মের আলোকে জনমুখো ও কর্মফলের কারণে তাদের এ লড়াইয়ে জনগনের মুখে মুখে রয়েছে বিকল্প প্রার্থীর নাম। কারণ আওয়ামী দুঃশাসনের সময় এই দু’জনই বিএনপির পক্ষে মাঠে সক্রিয় ছিলেন না। গুরু শেখ সুজাত মিয়া লন্ডনে এবং শিষ্য সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী আওয়ামী নেতাদের সাথে লিয়াজু করে বীরদর্পে মেয়র পদ আগলে রেখেছেন। তৎকালীন সময়ে উনার বিভিন্ন ব্যানার ফেষ্টুন বা বিল বোর্ডে দলীয় প্রধান বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। এক্ষেত্রে সাবেক এমপি শেখ সুজাত প্রবাসে থাকলে দলীয় প্রধানদের ছবি সম্বোলিত পোষ্টার সাটিয়ে প্রচার চালিয়েছেন দু’ উপজেলায়। দলীয় সুত্রে জানাযায়, সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া বিএনপি রাজনীতিতে যোগদানের পর থেকে তৃর্ণমুল পর্যায়ে দল ঢেলে সাজিয়েছেন। নবীগঞ্জ-বাহুবলের এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে সুজাত মিয়া যাননি বা তাকে চিননা এমন লোক আছে। সাধারণ মানুষের সুখে-দুখে পাশে থাকায় আলোচনার শীর্ষে আসে তার নাম। নারী-পুরুষ, যুবকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মুখে মুখে শেখ সুজাতে ধ্বনি উচ্চরিত হয়ে উঠেছিল। তার পুরুস্কার হিসেবে আওয়ামী সরকারের আমলে উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের হেভিয়েট প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। বর্তমানে নবীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একাধিক গ্রুপ রয়েছে। এরমধ্যে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। যেখানে রয়েছেন সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীসহ নেতাকর্মী। আমেরিকা সিকাগো বিএনপি সভাপতি শাহ মোজ্জাম্মেল নান্টু সমর্থিত বিএনপি বিশাল একটি অংশ। সিলেট বিভাগের দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছ সমর্থিত যুবদলসহ বিএনপির একটি অংশ। একাধিক গ্রুপিয়ের কারনে বিএনপি মাঠ শুন্য হয়ে পড়ে। জুলাই-আগষ্টের বিপ্লবের পর আবারও চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। ইতিমধ্যে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া দেশে ফিরে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। আমেরিকা থেকে দেশে আসেন শাহ মোজ্জাম্মেল আলী নান্টু। তিনি উনার বাড়ীতে পারিবারিক অনুষ্টান রাজৈনিতক অনুষ্টান সভা সমাবেশের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলাসহ তৃর্ণমুল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ঘটিয়ে নাড়া দিয়েছেন। লন্ডন থেকে তালহা চৌধুরী স্বল্প দিনের জন্য এসেই নেমে পড়েন মাঠে। দলীয় ৩১ দফার লিফলেট নিয়ে হাটে, মাঠে ঘরে ঘরে পৌছে দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে দেয়াল লিখন, গেইট র্নিমাণ, ব্যানার, পোষ্টার ও লিফলেট বিতরণ। সাবেক এমপি যখন দেয়াল লিখন ও গেইট নির্মাণ শুরু করেন, টিক তখনই ভিন্ন রূপে দেয়াল লিখন ও গেইট নির্মাণ করে প্রচারনায় নামেন সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী। একই ঘরোয়ার দু শীর্ষ নেতার এমন প্রচারনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার নতুন মোড় নেয়। শিষ্য সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর এমন প্রচারনায় সোস্যাল মিডিয়ায় নানা ভাবে লেখালেখি ভাইরাল হচ্ছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন দল ক্ষমতায় আসার আগেই উনার বালু মহাল বানিজ্য, হাট বাজার ইজারা, টেন্ডারবাজিসহ দীর্ঘ ১৭ বছরের মধ্যে দলীয় প্রধানদের ছবি ব্যতিত বিল বোর্ড, ব্যানার ও পোষ্টার লাগিয়ে ঈদ শুভেচ্ছাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের। তাও ছিল পৌর সভার সীমানার মধ্যে। কিন্তু এবার দলীয় প্রধানদের ছবি ব্যবহার করে নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকায় প্রচারনা চালানো হচ্ছে। যদিও তৃর্ণমুল পর্যায়ে উনার অবস্থা এতো টুকু মজবুত নয়, তবুও থেমে নেই প্রচারনা। সাধারণ নেতাকর্মীদের অভিমত যত গ্রæপিং, লবিং হউক না কেন এই আসনে শেখ সুজাত মিয়ার বিকল্প নেই। কারণ নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনীয় এলাকায় এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে নারী-পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ শেখ সুজাত মিয়াকে ছিনেন না। তৃর্ণমুল পর্যায়ে শেখ সুজাতের নাম দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। এর বাহিরে চিন্তা করলে এই আসনটি হাত ছাড়া হতে পারে বিএনপির। তবে গুরু শিষ্যের মনোনয়ন লড়াইয়ে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে বলেও ধারনা ত্যাগী নেতাকর্মীদের। এছাড়া ওই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায় রয়েছেন আমেরিকা সিকাগো সভাপতি শাহ মোজ্জাম্মেল আলী নান্টু। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি হবিগঞ্জ সদর আসনে প্রার্থীতা ঘোষনা দিলেও বাকী ৩টি আসনে এখন কোন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। শেষ পর্যন্ত নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনে কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন তা কেন্দ্রীয় কমিটি বা দলের পার্লামেন্ট বোর্ডই বলতে পারবেন। তবে ওই আসনে গুরু শিষ্যের মনোনয়ন প্রত্যাশায় রাজনৈতিক অঙ্গনে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।