Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Monday, 21 April 2025

 
সম্পাদকীয়  : বি.এন.পি'র প্রথম সারির নেতানেত্রীরা টাকার বিনিময়ে শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন বিধায় বিগত ১৫ বছরে আওয়মীলীগের বিরুধ্যে বি.এন.পি'র কোন আন্দোলনই কখনও আলোর মুখ দেখেনি। এমনকি বি.এন.পি'র সাংগঘটনিক সম্পাদক সাবেক এম.পি. ইলিয়াস আলী গুমের আন্দোলনও মাঠে মারা গিয়েছিলো মির্জা আব্বাসের মত বৃহৎ নেতার মীরজাফরীর কারনে? তিনি শেখ হাসিনার সুরে সুর মিলিয়ে কোন প্রমান ছাড়াই ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ হিসেবে দাবি করতে থাকেন !
জানা যায়, সে সময়ে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে শেখ হাসিনা গণভবনে ডেকে এনে নাটক করে জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ইলিয়াস আলীকে অপহরণ করা হয়েছে। কোন প্রমান ছাড়াই অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধের জের হিসেবে এটা করা হয়েছে বলে অবহিত করেছিলেন শেখ হাসিনা।
অথচ সত্যি ঘটনা হলো, ডিজিএফআইর তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে ইলিয়াস আলীকে গুম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা নিজেই ।
টাকার বিনিময়ে শেখ হাসিনার এই নাটক প্রচার করতে শুধু মিডিয়া কর্মীরাই নয়, মির্জা আব্বাসের মত বিএনপির রাঘব বোয়ালরাও মাঠে নেমেছিলেন।
মির্জা আব্বা তখন দলের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল গায়েবি দাবি প্রচার করে ইলিয়াস গুমের আন্দোলনকে মাঠে শেষ করে দিয়ে ছিলেন। আজ দিবালোকের মত সত্য দলীয় অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল নামক দাবিটি শেখ হাসিনার চক্রান্তের অংশ আর তা প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন মির্জা আব্বাস।
 
 

সম্পাদকীয় : বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনটির পরিসমাপ্তি ৫ আগস্ট না হয়ে "ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের " জন্য অপেক্ষা করতে হতো যদি আন্দোলনটির স্টিয়ারিংগ হুইল সমন্বয়কদের হাতে না থেকে বিএনপির হাতে থাকতো। বি.এন.পি. এমন এক অভাগা সংঘটন, সারা দেশের সব বুভুক্ষকে ( আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি থেকে জেটিয়ে বিদায় করা) তার বুকে ঠাঁই দিয়েছ, শুধু ঠাঁই দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তাদের হাতে সংঘটন পরিচালনার স্টিয়ারিং হুইলও ধরিয়ে দিয়েছে।
তাইতো, কোটি কোটি কর্মী সমর্থক নিয়ে সংঘটনটি ১৫ বছরে ৫ মিনিটের জন্যও রাজপথে দাঁড়াতে পারেনি। যে কোন আন্দোলন দানা বাধার পূর্বেই এই সব বুভুক্ষ নেতা-নেত্রীরা ক্ষমতাসীনদের ক্ষুদ কুড়ে গিলে আন্দোলনের পরিসমাপ্ত ঘোষনা করে, ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের মূল ঝলায় ।
৫ আগস্টের গণঅভ্যুথান সফল হয়েছে শুধু সমন্বয়কদের টাকা পয়সার প্রতি লোভ না থাকার কারনে। ভাগ্য ভালো যে ,বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনের সমন্বয়নকদের কেউই বিএনপি বা তার অঙ্গ সংঘটনের ছিলোনা। থাকলে, আওয়ামীলীগের ছুড়ে দেওয়া ক্ষুদ কুড়েতেই আন্দোলনটি আতুর ঘরে পটল তুলতো : বরাবরের মত আবারো আগামী ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের মূল ঝুলতো।
বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনের সমন্বয়নকদের কেউই বিএনপি বা তার অঙ্গ সংঘটনের ছিলোনা বলে ৫ আগস্টে ছাত্র জনতা শেখ হাসিনার মত এক জগদ্দল পাথরকে বাঙালি জাতির মাথার উপর থেকে নামিয়ে দিতে সমক্ষম হয়েছে।

https://www.youtube.com/watch?v=vbOsl6Xw-eI

বি.এন.পি কেন  বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়  আর আওয়ামী লীগ  সব  সময়  দুর্নীতি মুক্ত দরবেশের  স্টেটাস বয়ে বেড়ায় ?  অথচ  এই  আওয়ামীলীগাররাই  টাকা পাচার করে দেশে দেশে শুধু বেগম পাড়াই করেনি, এরা   বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ বিলিয়নারের তালিকায়ও  নাম লিখিয়েছে। এদের নেত্রী গর্ব করে বলেন তার পিওনও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টর ছাড়া চলেইনা!!

দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন  আর  দুর্নীতি মুক্ত দরবেশের  মুখোশ উন্মোচন করতে হলে  আমাদেরকে কাল্পনিক একটি  একটি উপমার সাহায্য নিতে হবে।

 

  :::: কল্পনা করুন আওয়ামী লীগ আর  বি.এন.পি  একটি  সুপার শপের দুটি স্বনির্ভর  ব্রাঞ্চ।::::::

--------------------------------------

শপ দুটির  স্বনির্ভর ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা  হায়ারিং, ফায়ারিং, এক্সপোর্ট , ইম্পোর্ট  আর ব্যাঙ্ক  লোন নেয়ার মত সূক্ষ্ণ  ও অতিগুরুত্বপূর্ণ   অর্থনৈতিক ডিসিশন মেকিংয়ে  স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী 

 

বিএনপি নামক প্রথম   ব্রাঞ্চেটি   পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন!!

—————————————————

     প্রথম  ব্রাঞ্চেটির  ম্যানেজারের ছেলে-মেয়েরা   ক্যাশের টাকা মাঝে মধ্যে নয় ছয় করে, উল্টো পাল্টা মেমো লিখে হিসাব মিলিয়ে থাকে , ব্রাঞ্চেটির কর্মচারীরাও দুর্নীতিতে সিদ্ধ হস্ত তারা সব সময় চা ,  কফি , স্প্রাইট , ফান্টা , গাম , সিগারেট, বিস্কটের মূল্য পরিশোধ না করে লুকিয়ে বাসায়  নিয়ে যায়।  এ জন্য   এই  ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে  প্রতি মাসে লাখ দেড়েক টাকার মালামাল মিসিং হিসাবে ঘোষণা করতে হয়। তবুও  মাস শেষে এই  ব্রাঞ্চেটির নেট আর্নিং  শত  কোটি ছাড়িয়ে যায়। বহু বছর যাবৎ ব্রাঞ্চেটির  ম্যানেজারের প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্ট হয়নি  ব্রাঞ্চের কর্মচারীদের  দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে না পাড়ার কারনে।  ব্রাঞ্চেটিকে  হেড অফিস  পর পর ৫ বার  দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে।

 

আওয়ামী লীগ নামক দ্বিতীয় ব্রাঞ্চেটি "দুর্নীতি মুক্ত দরবেশ" খ্যাত। 

————————————————————————————

দ্বিতীয়  ব্রাঞ্চেটির  ম্যানেজার  স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড ,  হিসাব নিকাশে  কোন নয় ছয় নাই।  ব্রাঞ্চেটির  ম্যানেজার আর কর্মচারির সম্পর্ক গভীর, তারা নিজেদের  সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা শেয়ার করে, এমন কি ঘর থেকে আনা  লাঞ্চও।

ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার,  কর্মচারীদের চরিত্র হেড অফিসের চোখে  নিট এন্ড ক্লিন হওয়ায় প্রতি বছর ম্যানেজারের  সেলারি ইনক্রিমেন্ট হয়, কর্মচারীদেরও বেতন  বোনাস  বৃদ্ধি পায়। মাস শেষ এই  ব্রাঞ্চেটি  অন্য ব্রাঞ্চটির চেয়ে  দেড় থেকে দুগুণ নেট আর্নিং  ব্যাংক একাউন্টে  জমাকরে।

 

::::  অডিটে  সাগর চুরি  আবিষ্কার!!!   ::::

——————————————————

  ৫ বছর পর অডিট টিম হিসাব নিকাশ করে আবিষ্কার করলো দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন  ব্রাঞ্চেটির একাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা থাকলেও  দুর্নীতি মুক্ত ব্রাঞ্চটির ব্যাঙ্ক  একাউন্টে কোন টাকা পয়সা নাই, উল্টো   ব্রাঞ্চটির ব্যাঙ্ক লোনের দেনা আছে   ১০০০ কোটি টাকা কানাডার বেগম পাড়ায় আশ্রয় নিয়ে  ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার দাবি করেন, নর্থ কোরিয়ান  হেকাররা  ব্যাংকে থাকা  ৪০০০ কোটি টাকা হাতিয়ে  নেয়ায়  ভেন্ডরদের প্রাপ্য  পরিশোধ করতে  তাকে  ১০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক লোন ব্রাঞ্চেটির  নামে নিতে  হয়েছে।

সম্পাদকীয় :  "দেশ পরিচালনায় ডক্টর মোঃ ইউনুসকে  কোন ভাবেই সফল হতে না দেওয়ার  পরিকল্পনার অংশ হিসাবে  বি.এন.পি. প্রসিডেন্ট চুপ্পুকে  স্বপদে রেখে দেওয়ার  গু-ধরে।"   চুপ্পুকে প্রেসিডেন্ট পদে রেখে  দেওয়ার  মানেই হলো ডক্টর ইউনুসসহ বিপ্লবীদের শক্তিকে অর্ধেক করে দেওয়া।  স্বৈরাচারের সেকেন্ড ইনকমাণ্ড এই চুপ্পুর স্বাক্ষর ছাড়া ডক্টর ইউনুস কাউকে হায়ারিং ফায়ারিংগ, কোন  কিচ্ছুই  করতে পারবেননা।

    ইউনুস সরকারের হাতে  হায়ারিং ফায়ারিংয়ের ক্ষমতা না দেওয়া  এই  বিএনপির  নেতা-নেত্রীই আজ  ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে   স্বৈরাচারের  দুসর  আমলাদের  ফায়ারিং  না করার   অপবাদ দিয়ে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছেন,  অপবাদের খৈ ফুটাচ্ছেন ।তার কারন ,  আজকের বি.এন.পি'র নেতা নেত্রীর বেশির ভাগই আওয়ামীলীগের উচ্ছিস্ট।   ফজলু , হাবিবের মত মোটা মাথার নেতা -নেত্রীরা   তীক্ষ্ন বুদ্ধি সম্পন্ন আওয়ামীলীগারদের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেরে মিষ্টি কথায় সহজে পদ ভাগিয়ে  নিতে  বিএনপিতে ডুকে পরে।   এদের কারনে  বিএনপি দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হয়!!

আওয়ামীলীগ নয় বি.এন.পি. পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান??

খালেদা জিয়ার মত সৎ নেত্রী থাকার পরও বি.এন.পি পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান  হয়েছে, শুধু মাত্র  ওই সব মাথা মোটা নেতাদের আগা থেকে মাথা পর্যন্ত  সব  গিলে খাওয়ার  উগ্র বাসনা  থেকে।

       আওয়ামীলী প্রজেক্টের নামে বিদেশ থেকে  বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এনে হাওয়ার উপর গিলে দেশে দেশে বেগম পাড়া গড়েছে , বিশ্বের নানান দেশের সবোর্চ্চ  বিলিয়নার বনেছে অথচ  বি.এন.পি'  হাওয়া ভবনের নামে পাহাড় সমান অভিযোগ!!!

     তারা নাকি  চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, ফাইল আটকে টাকা আদায় এমন কি  পাড়া মহল্লার দোকানে দোকানে  চাঁদাবাজি, ছিচকে চুরি করে জনগনের জীবন বিভীষিকাময় করে তুলেছিলো।

        আওয়ামীলীগ  ক্ষুদ খেয়ে ক্ষুধা  নষ্ট করার মত  বোকামি না করে  জন্যগনের চোখে ধুলা দিয়ে  দিনে দুপুরে আস্তো হাতি গিলে খেয়েছে। স্টক মার্কেট , ব্যাঙ্ক-বীমা , রেল , বিমান  এমনকি  রাষ্ট্রীয় কোষাগারও আওয়ামীলীগের ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।   তারপরও আওয়ামীলীগ দুর্নীতিতে চেম্পিয়ন হয়নি!!!!

চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য , চোরি , ডাকাতি, ছিনতাই, রাহানজানি আর  সিন্ডিকেট করা ব্যবসায়ী নামক প্রতিটি নরাধমের  আজ  চক্ষু শুলে পরিণত হয়েছেন  : মোহাম্মদ  ইউনুস।

তার  সরকারকে ব্যর্থ  করতে  বিএনপিআরআওয়ামীলীগএকজোটহয়েছে।

সাথে আছে  সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো ব্যবসায়ীরাও

তার প্রমান :

ছাত্রলীগ-শ্রমিক দল  সমন্বয়ে ইউনাইটেড ডাকাতি সংঘের   বনশ্রীতে ডাকাতি:

 

বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের চাঁদাবাজির স্পটগ গুলো হাত বদল হয়ে  এখন বিএনপির দখলে। ডিফারেন্স শুধু ,

ক্ষমতায় থাকার কারনে আওয়ামীলীগের  চাঁদাবাজদের  কোন দিন পুলিশের হাতে এরেস্ট হতে হয়নি আর ক্ষমতায় না থাকার কারনে বিএনপির চাঁদাবাজদের  পুলিশের হাতে এরেস্ট হতে  হচ্ছে !! আওয়ামীলীগের মত  নির্বিগ্ন  চাদাঁবাজি জন্য বিএনপিকে  অতিশীঘ্রই ক্ষমতায়  যেতে হবে। হালুয়া রুটির ভাগ নিতে  বিএনপির ছোট বড় মাজারী সব নেতার কণ্ঠে  আজ একই আওয়াজ, নির্বাচন চাই, দিতে হবে । 

 

 লাইটার জাহাজগুলোকে পণ্য খালাসের  ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম !

—————————————————————————

  অসাধু ব্যবসায়ীরা   রমজানে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম  সংকট সৃষ্টি করে  আংগুল ফুলে কলা গাছ হতে ভোজ্যপণ্য আর নিত্যপ্রয়োজীয় মালামালকে বাজারে না ছেড়ে  সাগরে লাইটার জাহাজগুলাতে  গুদামজাত করে রাখে  

সরকারের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামে  তাদের আশায় গুড়ে বালি পড়ায় এরা ইউনুস সরকারের উপর ক্ষুব্দ

তারাও দ্রুত নির্বাচন চায়।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানিকারকরা বন্দরের জলসীমায় নয়, খালাস পয়েন্টে বিভিন্ন ঘাটে লাইটারেজ জাহাজকে ভাসমান গুদাম বানিয়ে রেখেছেন।

 

https://youtu.be/DwKM6hHQIhI?si=TyfPupX-5BOPyXnU

 

 

https://ekhon.tv/economy/67d10c375ae3005c96541aaf

সম্পাদকীয় :  "স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তিপাক " নিজের বুকে পিঠে লিখে বন্ধুকের গুলির সামনে দাঁড়িয়েছিল শহীদ নূর হুসেন, দেশ মাতৃকার কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা রক্ত পিপাসু স্বৈরাচারী ড্রাকুলাকে তাড়িয়ে  গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বিনির্মানের জন্য । ডাক্তার মিলন জাফর, জয়নাল, দীপালী সাহা সহ অগণিত ছাত্র জনতা রক্ত দিয়ে এরশাদেরশাহীর পতন ঘটিয়ে, আওয়ামীলীগ আর বিএনপি করা রাজনীতিবিদদের হাতে দেশ তুলে দিয়ে যার যার ক্ষেত্রে ফিরে যায়।

 ছাত্র জনতার রক্তে বি.এন.পি-আওয়ামীলীগের :"মোটা তাজাকরন প্রকল্প " !!
আওয়ামীলীগ আর বিএনপি করা রাজনীতিবিদেরা বাঙ্গলাদেশটাকে না গড়ে নিজেদেরকে "মোটা তাজাকরন " করার প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন । কেউ কেউ গড়েন (১০%-২০% এর ) হাওয়া ভবন, আর কেউ কেউ পাড়া মহল্লায় প্রজেক্টের নামে তৈরী করেন মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার প্রকল্প : ঘাস চাষ , মাছ চাষ কিংবা খিচুড়ি রান্নার শিখার নামে দেশ থেকে বিদেশে ডলার পাচার করে বেগম পাড়া গড়ার প্রকল্প ।
যে নূরহোসেনের রক্ত বেয়ে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিলো সেই নুরহুসেনকে আওয়ামীগের মন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছিলো , "নূর হোসেন ইয়াবাখোর ছিল. "
নূর হোসেনদের আত্মদানের অবমূল্যায়ন দেখে "Generation Z" জেনে গেছে বাঁদরের গলে মুক্তোর মালা শুভা পায়না। নিজের রক্ত দিয়ে অর্জন করা সম্পদের মূল্য নিজে ব্যতীত অন্যে বুঝবেনা, অন্য সে সম্পদকে পা দিয়ে মাড়িয়ে যাবেই ।
তাই অন্য কেউ নয় "Generation Z" দেশ গড়ার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশে শুভকামনা
ধন্যবাদ Generation Z, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য।

 

সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে দলীয় প্রতীকে, এককভাবে। আমরা চাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। গত কয়েক বছরের স্থানীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকারও আশ্বস্ত করেছে ভালো পরিবেশ হবে।

 মঙ্গলবার বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় চুন্নু আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বোঝা যাবে প্রতীক বরাদ্দের পর। জাতীয় পার্টির এখন পর্যন্ত নয় জনের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। বাতিল হওয়া নয়জন আপিল করবেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট ডাবল।

 

ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারলে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমরা আওয়ামী লীগের থেকে বেশি ভোট পাবো।

লন্ডনঃ নিজের শেকড়কে ভূলে গেলে চলবেনা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে শেকড় থেকে বিচ্যুত নাহয় সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানালেন মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন আমারা যেখানেই থাকিনা কেন আমাদের অবশ্যই শেকড়ের সন্ধান করতে হবে। ব্রিটনে বসবারত ব্রিটিশ বাংলাদেশী নবপ্রজন্মকে দেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে তিনি অভিবাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান। গতকাল ২৩শে নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার রাতে ইষ্টলন্ডনের একটি রেষ্টুরেন্টে নবীগঞ্জ উপজেলা ওয়েলফেয়ার অর্গেনাইজেশন ইউকে আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় লন্ডন সফররত নবীগঞ্জ পৌর মেয়র সাবির আহমদ চৌধুরী বলেন নবীগঞ্জ পৌরসভাকে একটি মডেল পৌর শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন শত বছরের পৌর শহর গুলোর তুলনায় নবগঠিত নবীগঞ্জ পৌরসভা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন এই পৌরএলাকার অভ্যন্তরে সরকারী কোন জমি না থাকলেও তার প্রচেষ্টায় প্রায় দুই একর ভূমি ক্রয় করে ডাম্পিং ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, বিশেষ করে জানজট সমস্যার সমাধান কল্পে নবীগঞ্জ-শেরপুর রোডকে প্রসস্থ করা সহ ডেনেজে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আর শহর বাসীকে জলাবদ্ধতায় ভোগতে হবেনা। পৌর শহরে একটি গোরস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন মেয়র হিসেবে তিনি যে সম্মানী ভাতা পান তা নিজে খরচ না করে আর্থ মানবতার সেবায় ব্যয় করেন। এছাড়া সরকারী তহবিল থেকে কোন ধরেনের খরছও তিনি নেননি। আর একারণেই দলমত নির্বিশেষে মানুষ তাকে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন আপনাদের দোয়া থাকলে আমি এভাবে নিজকে মানব সেবায় বিলিয়ে দিতে চাই। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হালিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবু তালিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন সফররত সিলেট জেলা বারের সদস্য অ্যডভোকেট জোৎস্না ইসলাম, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেণ্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের প্রেসিডেণ্ট ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলার জাহেদ চৌধুরী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডভাইজার শামীম চৌধুরী, সম্বর্ধিত অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন সলিসিটর সৈয়দা নাসিমা বেগম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান, ফারসু মিয়া, বাবুল আহমদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মোহিত, লোকমান হোসেন, জসিম উদ্দিন, মিনাল আহমদ চৌধুরী, সুমন আহমেদ প্রমুখ। অতিথিকে ফুল দিয়ে বরন করেন সলিসিটর সৈয়দা নাসিমা বেগম ও গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের সুফি সুহেল আহমদ ও অন্যান্যরা। (মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন ২৪নভেম্বর ২০২৩।)

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, তা সময়মতোই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদ্যঃসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কেউ নির্বাচন থামাতে পারবে না, আগেও পারেনি, এবারও পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সেটা তারা আবার প্রমাণ করেছে। সন্ত্রাসীদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হয়, সেভাবে দিতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রতি বিএনপি-জামায়াতের হামলার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২৮ তারিখে ৪০-৪৫ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হলো।

 
রিপোর্টারস উইথআউট বর্ডার, এদের কাছ থেকে আপনারা কি কোনো সিমপ্যাথি পেয়েছেন? তাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পেয়েছেন? আজকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো চুপ কেন? তাদের কাছ থেকে প্রতিবাদ শুনি না কেন? তাদের কাছ থেকে কথা শুনি না কেন? আপনারা সেটি জিজ্ঞেস করেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি পুলিশ মারল। বাসে আগুন দিল। যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, আজকে তাদের সেই ভাণ্ডার বন্ধ কেন? তারা চুপ কেন?

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ করেছিলেন আমাদের সরকার কিন্তু তাদের কোনো বাধা দেয়নি।

 
তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।’

 তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখ বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটাল, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির কিছুই জুটবে না।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১২.৫% প্রবাসীর দেশে নির্বাচনে সেন্টারে সেন্টারে ১০০% ভোট কাস্ট হয়ে যাওয়া নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত করে ব্যালট বাক্সে অবৈধ ভোটের উপস্তিতি ঘটেছে । ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২১৩ টি সেন্টারে ১০০ % ভোট কাস্ট হয়েছে ! নির্বাচনে কি পরিমান অবৈধ ব্যালট কাস্ট হয়েছে তার একটি সাধারণ ধারণা পাওয়ার জন্য ১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া যে কোন একটি সেন্টারের ভোটের ডাটা বিশ্লেষণ করা দরকার .

১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া কুমিল্লা-১০ আসনের ৩৬ নং সেন্টারের ভোটের ডাটা বিশ্লেষণে করে যা দেখতে পাওয়া যায় :

১) বিএনপির প্রার্থী শূন্য ভোট পেয়েছে ?
২) প্রবাসীসহ সকল পোস্টাল ব্যালটের ভোট কাস্ট হয়েছে!
৩ ) আওয়ামীলীগের প্রার্থী পেয়েছে ৯৯.৯৬% ভোট .

 

২০১৮ সালের নির্বাচনের জরুরী কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
নির্বাচনে কোন পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়নি তাই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েই সবাইকে ভোট দিতে হয়েছে !
নির্বাচনে রেজিস্টার্ড ভোটার : ১০৪১৫০০০০ জন .
পোস্টাল ব্যালটে ভোট না নেয়ার কারনে যারা ভোট দিতে পারেনি
প্রবাসী ভোটার : ১কোটি ২৫ লক্ষ : ভোটের: ১২.৫%
নির্বাচনি কর্মকর্তা-কর্মচারি : ১৫ লক্ষ
অসুস্ত , মৃত , জেলে থাকা, হাসপাতালে থাকা , ঠিকানা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তি সব মিলিয়ে ২০% মানুষের নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় ছিলোনা।


বিএনপির প্রার্থীর শূন্য ভোট সম্পর্কে আওয়মীলীগের বক্তব্য :

A) শেখ হাসিনার মতে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করে অপরিচিত প্রার্থী দেওয়ার কারনে তারা কোন ভোট পায়নি !
B) আর, মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মতে বিএনপি শূন্য ভোট পাওয়ার মত দল নয়, তবে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা কোন ধরণের প্রচার প্রচারণা চালায়নি বলে তাদের ভোটাররা নির্বাচনে ভোট দিতে আসেনি ?
C) আর সাবেক সচিব আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খান আর সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ মনে করেন বিএনপি এখনো ২০ % থেকে ২৫% ভোট হল্ড করে .

A).
দেখা যাক , বিএনপির শূন্য ভোট পাওয়ার পিছনে শেখ হাসিনার দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু ?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর কি বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যে নমিনেশন পাওয়া একজন অযোগ্য ,অপরিচিত বা ভুইফোড় প্রার্থী?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর কোন অযোগ্য ,অপরিচিত বা ভুইফোড় প্রার্থী নন, তার আছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন. তিনি আওয়মীছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন. দুবারের এমপি এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা . অতএব শেখ হাসিনার দাবি অযৌক্তিক।

B)
এখন দেখা যাক , বিএনপির শূন্য ভোট পাওয়ার পিছনে এম.আরাফাত হুসেনের দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু ?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন, তার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে প্রচার প্রচারণা চালানো সম্ভব পর হয়নি। সময়ে অসময়ে পুলিশি ধর পাকড়ের কারনে অন্য নেতা কর্মীদেরও তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালানো সম্ভবপর হয়নি।
“প্রচার প্রচারণা না থাকার কারনে বিএনপির ভোটাররা নির্বাচনের দিন ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি ” আরাফাত হুসেনের এই দাবির পক্ষে মোটামোটি যৌক্তিকতা খোঁজে পাওয়া যায়।

C)
বিএনপির ২০% ব্যালট গেলো কোথায় ?
আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খান, শাহনেওয়াজ চৌধুরীর কথা মত বিএনপি এখনো ২০%-২৫% ভোট হোল্ড করে তাই নির্বাচনী কর্মকর্তা আর পুলিশ দায়িত্বে ৩৩৫১ এর ২০% মিনিমাম ৬৭০ টি ভোট না দেয়া ব্যালট থাকার কথা।

শুধু কি তাই , ১২.৫% প্রবাসী, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মচারী -কর্মকর্তা, পুলিশ, অসুস্ত , মৃত , জেলে থাকা, হাসপাতালে থাকা , ঠিকানা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তি সব মিলিয়ে ২০% মানুষের নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় ছিলোনা বলে ৩৩৫১ এর আরো ২০% ৬৭০ টি - ভোট না দেয়া ব্যালট নির্বাচনী কর্মকর্তা আর পুলিশ দায়িত্বে থাকার কথা।

পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্তা না থাকা আর বিএনপির কর্মী সমর্থদের কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার কারনে কেন্দ্রের মোট ভোটারের চেয়ে কম করে হলেও ১৩৭০ টি ভোট কম কাস্ট হওয়ার কথা। এই ব্যালট গুলো পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অধীনে সেইফরুমে থাকার কথা।

যে ব্যালট গুলো পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অধীনে সেইফরুমে থাকার কথা, সেই ব্যালটগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে! আমানতের খেয়ানতের জন্য পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দোষী স্বাব্যস্ত করার এর চেয়ে বড় আর কোন প্রমানের কি প্রয়োজ আছে?

ব্যাংক ভোল্টের টাকা গায়েব হলে যেমন ব্যাংকের স্টাফদের কোমরে ধরি বেঁধে থানায় চালান দেয়া হয় ঠিক তেমনি সেইফরুমের ব্যাল্টগুলো যাদের কারসাজিতে পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তারা নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছে তাদেরও কঠিন শাস্তির মুখাপেক্ষী করা দরকার।
পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বারা ব্যালট সংগ্রহ করে কোন সভ্যদেশে কেউ কোন দিন নির্বচিত হতে পারেনি। আমেরিকার ২০২০ নির্বাচনে ভার্জিনিয়া স্টেটে ঠিক এমনি একটি ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদিন। তাই আজ তিনি আদালতে কঠিন শাস্তির মুখাপেক্ষী ।
কিন্তু শেখ হাসিনা ২০১৮ এর নির্বাচনে সেন্টারে সেন্টারে নৌকা মার্কায় অজস্র অবৈধ ভোট কালেকশন করিয়েও আদালতে কোন ধরনের শাস্তির মুখাপেক্ষী হচ্ছেন না কেন?


## এটা কি সভ্য সমাজ আর  অসভ্য সমাজের পার্থক্য ?
আমেরিকার নির্বাচনে ভার্জিনিয়া সেক্রেটারি অব স্টেটকে ১১৭৮০টি ভোট খোঁজে দেওয়ার কথা বলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্গানাইজড ক্রাইম ( রিকো বা মাফিয়া ) আইনে দোষী হিসাবে বিচারের কাঠগড়ায় যে সময় উঠা নামা করতেছেন ঠিক সেসময় বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা তার সাঙ্গ পাঙ্গ দিয়ে কোটি কোটি অবৈধ ভোট কাস্ট করিয়ে শুধু প্রধান মন্ত্রী হয়েই ক্ষান্ত দেননি , নিজের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্টিত করতেও সংবিধানের দোহাই দিয়ে লাফালাফি করছেন!
আমেরিকার সংবিধান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপরাধ না করেই শুধু অপরাধ করার ইনটেনশন ছিল এই কারনে মাফিয়া আইনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আর বাংলাদেশের সংবিধান- শেখ হাসিনাকে অপরাধ করার পরও শাস্তির বদলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুরুস্কৃত করেছে এমন কি শেয়ালের হাতে মুরগি বর্গা দেওয়ার মত আবারো তার হাতে বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্টিত করার গুরু দায়িত্ব তুলে দিতে যাচ্ছে !
বাংলাদেশের সংবিধান আর আমেরিকার সংবিধানের মধ্যে এতো পার্থক্য কেন ? এক সংবিধান অপরাধীকে শাস্তি দেয় আর অপরটি অপরাধীকে পুরুস্কৃত করে? সংবিধানিক আইনের এ পার্থক্যটাকে কি সমাজের সভ্যতা নিরুপনের ব্যারোমিটার : সভ্য সমাজ আর অসভ্য সমাজের পার্থক্য বুঝার উপায় ! সভ্য সমাজে অপরাধী শাস্তি পায় আর অসভ্য সমাজে অপরাধী পুরুস্কৃত হয় .

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« April 2025 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
  1 2 3 4 5 6
7 8 9 10 11 12 13
14 15 16 17 18 19 20
21 22 23 24 25 26 27
28 29 30