নবীগঞ্জ থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মোঃ মাসুক আলী। বুধবার রাতে নবীগঞ্জ থানার বিদায়ী ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ নতুন ওসি মো. মাসুক আলীর কাছে অনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ইতিপূর্বে ওসি মো. মাসুক আলী আজমিরীগঞ্জ থানা, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা ও বাহুবল থানায় কর্মরত ছিলেন। দায়িত্বভার গ্রহণ করে নবীগঞ্জ থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুক আলী বলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি নাগরিক যাতে পুলিশি সেবা নির্বিঘ্ন্নে পেতে পারেন এবং জনসাধারণ যাতে কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হন সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো। এছাড়া নবীগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা জনসাধারণের শান্তি-সেবা নিশ্চিত করণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য- গত ২৩ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আজমিরীগঞ্জ থানার (ওসি) মো. মাসুক আলীকে নবীগঞ্জ থানায় বদলি করা হয় ও নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় নবীগঞ্জ উপজেলার বতর্মান ও সাবেক তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মীর জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ পাঠান, বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, উপলেজলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফুলকাছ মিয়া, নবীগঞ্জ সদর ইউপি বিএনপির সভাপতি এনাম উদ্দিন, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা যুবদল নেতা শেখ শিপন মিয়া, পৌর যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুর রহমান লেবু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মকবুল চৌধুরী, আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সদস্য শফিকুজ্জামান রুহেল, দেবপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বকুল মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জামিল আহমেদ।
জানা যায়- ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের পূর্বে নবীগঞ্জ পৌরসভার ছালামতপুর এলাকাস্থ হাজারী কমিউনিটি সেন্টারের পাশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তৎক্ষালিক নবীগঞ্জ থানার এসআই গৌতম সরকার বাদী হয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এতে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফুসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে ওই মামলায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি নেতা তানহা চৌধুরী তালহা বলেন বলেন- গায়েবি মামলায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে সেটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে কারাবন্দি হবিগঞ্জ বিএনপির কর্নধার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছসহ সকল নেতাকর্মী মুক্তির দাবী করছি।
নবীগঞ্জ উপজেলায় একাধিক চুরির মামলার পলাতক দুই আসামীসহ ওয়ারেন্টভূক্ত এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ। গত রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। এবং বনগাঁরও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামীকে করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের কাছুম মিয়ার পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান (২৩), রামপুর গ্রামের মৃত ছুয়াব উল্লাহর পুত্র মোফাজ্জল হোসেন (৩২), ও ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামী হলো, বনগাঁও গ্রামের আকিব মিয়ার পুত্র রিমন মিয়া কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ এর দিকনির্দেশনায় এএসআই জামাল হোসেন সরকার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ, গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন সোমবার সকালে তাদের হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের কারামুক্তি কা কামনায় শনিবার নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের উদ্দ্যেগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শনিবার বাদ যোহর নবীগঞ্জ দারুল উলুম মাদ্রাসা মজসিদে জেলা যুবদলের আহব্বায়ক জালাল আহমেদ এর দিক নিদের্শনায় কারামুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পূর্বে বক্তব্য নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ হবিগঞ্জ বাসীর এবং আমাদের আশা-ভরসার একমাত্র প্রতীক। তিনি জুলুম অত্যচার নিপীড়ন সহ্য করে জীবনে সংগ্রাম, যুদ্ধ, করে রাজনীতি করেছেন। এমন একটি নৈতিকতার মানদণ্ড তিনি তৈরি করেছেন জনগনের কাছে, যে ওয়াদা দেন সেই ওয়াদা থেকে কোনোদিন সরে আসেননি। তিনি সব সময় জনগনের কাছে তাদের অধিকার আদায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন। জি কে গউছকে বন্দি করে রেখে অবৈধ সরকার অবৈধ কার্যক্রম করছে। শেখ হাসিনা হবিগঞ্জের মাটিতে তাকে ভয় পায় বলেই কারাবন্দি করে রেখেছে। এসম উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন,পৌর যুবদলের সদস্য ফুল মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর মিয়া, হাসান চৌধুরী, সফিকুল ইসলাম নাহিদ, রেজুয়ান আলম তুহিন, ছাইম উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন,জুবায়ের মিয়া, প্রমুখ। আমারা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
নবীগঞ্জ উপজেলা বাউসা ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল হক (৪৮) হঠাৎহৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেt নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি তার মা ২ পুত্র সন্তান, ও স্ত্রীসহ অসংখ্য অত্নীয় স্বজন রেখে যান। আজ বিকেল ২:৩০ মিনিটে সুজাপুর ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গনে মরহুমের যানাজার নামায অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল হকের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান শিশু। এসময় তিনি বলেন নুরুল হক মেম্বার একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন তিনি পরিষদের ইউনিয়নে পরিষদের সকল কার্যক্রম আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছিলেন। আমি তার মৃত্যতে মর্মাহত এবং তার পরিবারের সদস্য ও তার ২ অবুঝ সন্তানদের প্রতি গভীর সমবেদনা শোক সন্তপ্ত পরিবারের যাহাতে এই শোক কাটিয়ে উঠেন সে জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করি। মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ইউনিয়নবাসী সহ দেশ বিদেশে অবস্থানরত সবার কাছে চাই। এবং আল্লাহ যেন তার সকল ভূলগুলো ক্ষমা করে জান্নাত বাসী করেন।
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে অব্যাহতি দিয়ে জেলা ছাত্রলীগকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন। তিনি জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। তবে তার স্থলে কাউকে এখনও ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়নি।অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মোশারফ হোসেনকে (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হবিগঞ্জ জেলা শাখা) তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। উল্লেখ্য, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী’র ৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি আপত্তিকর ভিডিও শুক্রবার ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী অজ্ঞাত এক যুবতীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছেন এবং তাকে উড়ো কিস করছেন। তখন ওই যুবতী নেচে নেচে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করছেন। এ অবস্থায় বাপ্পীও নগ্নতায় জড়িয়ে পরেন। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ওয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি একে অপরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগ পরিবারে ক্ষোভ দেখা দেয়। এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী ফেইসবুকের ৭টি আইডি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর থেকে তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, তার ছবি এডিট করে ভিডিও তৈরী করে কুরুচিপুর্ণ কথা বার্তা লিখে ওই ৭টি আইডির মাধ্যমে পোস্ট করে সামাজিকভাবে তাকে হেয় করা হয়েছে এবং ওই আইডির ব্যক্তিরা তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশু হলো- সদরাবাদ গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৮) ও বাবুল হোসেনের ছেলে রাফি আহমেদ (৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সদরাবাদ গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৮) ও বাবুল হোসেনের ছেলে রাফি আহমেদ (৬) পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পার্শ্ববর্তী সামাদ মিয়ার পুকুরে গোসল করতে নেমে পানির নীচে তলিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানে তাদের না পেয়ে সামাদ মিয়ার পুকুরে পানিতে নেমে খোঁজখুজি করেন। এক পর্যায়ে ইকবাল ও রাফির মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এদিকে পানিতে ডুবে একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন- সদরাবাদ গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবর আবেদন করা হয় এবং আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
নবীগঞ্জে ধান ক্ষেত নষ্ট করা ক্ষতিকর পোধা কিভাবে নিধন করা যায় সে বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নবীগঞ্জের ৪০টি বøকে এক যোগে আলোক ফাদঁ স্থাপন করে কৃষকদেও নিয়ে কৃষি কর্মকতর্দার পরামর্শ সভা অনুষ্টিত হয়।। গত বুধবার রাতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার আলোক ফাদেঁর মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার কৃষি জমিতে বিভন্ন ফসলের জন্য উপকারী ও ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বøকে আলোক ফাদঁ স্থাপন করে বিভিন্ন উপকারী পোকা যেমন, ক্যারবিড, বিটল লেডি বার্ড, বটল,জ্যামসেল ফøাই এবং ক্ষতিকর পোকার মধ্যে মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, সুবজ পাতা ফড়িং পোকার উপস্থিতি লক্ষ্যে করা যায়। চলতি রোপা, আমন মৌসুমে ধানের ক্ষতিকর পোকা দমনে কৃষকদের আলোক ফাদঁ জমিতে পাচিংকরাসহ প্রয়োজন পরামর্শ প্রদান করা হয়। নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ ফজলুল হক মনি ৪০টি ব্লকে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা অজিত রঞ্জন দাসসহ বিভিন্ন বøকে আলোক ফাদঁ পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের পার্চিং করাসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
যুক্তরাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পরিবারের দুই শিশু সন্তানসহ এক প্রবাসী ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ব্যবসায়ীর অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী। নিহতের গ্রামের বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলায়। এ ঘটনায় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশী কমিউনিটি ও পরিবার-পরিজনসহ তার নিজ গ্রামের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন সাজু (৩০), আলমগীরের দুই সন্তান জাকির হোসেন (৯) ও মাইরা হোসেন (৪)। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ও আলমগীরের স্বজনরা জানান- নিহতদের পরিবার বার্মিংহাম শহরের নিকটবর্তী ওয়ালসালের প্লেক শেরিডান স্ট্রিটের বাসিন্দা। আলমগীর হোসেন সাজু স্বপরিবারে একদিনের সফরে বার্মিংহাম থেকে লেস্টারে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে ফেরার পথে তাদের বহনকারী বিএমডব্লিউ কারটিকে একটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই সাজু ও তার ছেলে জাকির নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় মাইরা হোসেনের। এছাড়া ওই প্রবাসীর অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী সেখানকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক যুক্তরাজ্যে বসবাসরত নূর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল বলেন- আলমগীর হোসেন সাজু বার্মিংহামের একজন ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব। তাদের মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল জানান- আলমগীর যখন ছোট ছিল, তখন দুইবার বাংলাদেশে আসে। এরপর দীর্ঘসময় অতিক্রম হলেও বাংলাদেশে আসেনি। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। কুর্শি ইউনিয়নের কাদমা গ্রামের নিহত আলমগীরের আত্মীয় জাকির হোসেন জানান- আলমগীর সপরিবারের দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আসেন না। গ্রামের বাড়ি কল্যাণপুরে তাদের বাড়ি রয়েছে তবে সেখানে কেউ এখন আর থাকেনা। তিনি বলেন- দেশে আলমগীরের এক চাচা ছিলেন আবুল হোসেন দুলা, তিনি প্রায় এক বছরপূর্বে মারা যান। তার অন্যান্য চাচারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। হঠাৎ আলমগীর ও তার ছেলে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি। দুর্ঘটনায় আলমগীরের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী গুরুতর জখম পেয়েছেন তার অনাগত সন্তান মৃত প্রসব করেন। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে তবেতার অবস্থা আশংজনক। কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান বলেন- কল্যাণপুর গ্রামের আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তিনি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় আলমগীর তার ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুর সংবাদে আমরা ইউনিয়নবাসী শোকে কাতর।তিনি আলমগীর তার ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।