Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Monday, 21 April 2025

Local News

Local News (259)

অপারেশন ডেভিল হান্টে  দীঘলবাক  ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সাজু (৪২) কে  গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ  পুলিশ। গত  বৃহস্পতিবার বিকালে  ওসি  কামাল হোসেনের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ শহরের উপজেলা  পরিষদের  সামন থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কামারগাও গ্রামের মৃত সোনাফর মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী সারাদেশে হরতালের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। ওইদিন সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে আগুন দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন (১৯ ফেব্রুয়ারী) গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এসআই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার বাদী নবীগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কোন আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পুলিশের দাবী মামলার তদন্তে  শাহজাহান  সাজু সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। শুক্রবার  সকালে তাকে হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরন করে পুলিশ।  
 

 

নবীগঞ্জ উপজেলা দীঘলবাক ইউনিয়নের স্বস্থিপুর গ্রামের ফ্রান্স প্রবাসীর ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাহমান আজিজের মাতা আনোয়ারা বেগমের মালিকানা জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে জানাযায় উল্লেখখিত মহিলার মালিকানা শস্তিপুর মৌজার ৩৩৪৭ দাগের খতিয়ান নং ১৩৬১ জেল নং ২৩ এর ১৩ শতক ভুমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার দীঘলবাক ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি  শাহজান সাজু,  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মদরিছ মিয়াও মকলিছ মিয়াগংদের  বিরুদ্ধে।  খবর পেয়ে আনোয়ারা বেগম তার জমি দখল করতে বাঁধা প্রদান  করিলে তাকে ও তার সাথে থাকা লোকজনকে জায়গা থেকে সরে না গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হমুকি দেয় শাহজান সাজু। এসময় সাজু, মকলিছ, মদরিছ মিয়া অকথবাসায় গালাগালি  লাঠিসোঁটা নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।পরে আনোয়ার মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন তহশিলদার আশরাফুল ইসলাম তারেক ও ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এএস আই সৌরাব হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলার তথ্যের ঘটনা সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করেন  এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র  আগামীকাল উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান করেন।

অসংখ্য গর্তে ভরপুর নবীগঞ্জের কাজীগঞ্জ বাজার টু মার্কুলীর সড়ক যেন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে গাড়ি। ঝুঁকি আর দুর্ভোগ এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী কয়েক হাজার মানুষের নিত্যসঙ্গী। কাজীগঞ্জ বাজার টু মার্কুলির ১৭ কিলোমিটার সড়ক এমন বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। এতে চরম ভোগান্তি আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সড়কটিতে চলাচল করছেন উপজেলার হাজারো মানুষ। সড়কের অবস্থা যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী সিএনজি, ইজিবাইক ও মালবাহী বিভিন্ন ধরনের ট্রাক, পিকআপ, মোটর সাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ শত শত গাড়ি চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে প্রতি নিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনাও। বিকল হচ্ছে যানবাহন। কয়েক দফায় গর্তের ভাঙন মেরামত করা হলেও বিগত বছর খানেক যাবত সড়কটির বিভিন্ন অংশের খানাখন্দ বেড়ে সড়কটি এখন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে বৃষ্টিতে আরও বাড়বে সড়কের ভাঙন। এতে চরম ভোগান্তি বাড়বে হাজারো মানুষের। সরেজমিনে দেখা যায়, কাজীগঞ্জ বাজার হতে মার্কুলী পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন অংশে বেহালদশার কারনে মানুষের চলাচলের অনিহা প্রায়। রাস্তার এ কারণে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে গাড়ি আনতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার মানুষ ও সবধরণের পরিবহণ। সিজিল মিয়া নামে একজন জানান, প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। পূর্ব বড় ভাকৈর ও পশ্চিম বড় ভাকৈর ইউনিয়ন এর বাসিন্দাদের একাধিক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে সড়কটির যে বেহাল দশা তাতে রিকশা, সিএনজি বা যে কোনো পরিবহনে উঠতেই ভয় হয়। কখন কোথায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এমনকি জরুরি মুহূর্তে কোন রোগী নিয়ে উপজেলা শহর বা জেলা শহরে যেতে হলে অনেক সময় পরিবহণ মেলানো দায় হয়ে পড়ে। সিএনজি চালক মুজাক্কির মিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে নবীগঞ্জ ও জেলা শহরে যাওয়া আসা করতে হয় আমাদের। দুর্ভোগের পাশাপাশি সড়কের গর্তের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয় বেশী। এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে মোবাইল ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়।

নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালানোর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তিনি অন্যতম আসামী।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে গত ৯ জানুয়ারী হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল অন্যতম আসামী। রোববার তিনি হবিগঞ্জ শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল। গজনাইপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ভূয়া নাম দিয়ে কোটি টাকার চাল আত্মসাৎ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করলে গজনাইপুর ইউনিয়নের ভিজিডি কর্মসূচির ১১৮৫ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ২২৯ জন সুবিধাভোগীর চাল গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল আত্মসাৎ করেন মর্মে প্রশাসনের তদন্তে উঠে আসে। তালিকায় এক নাম একাধিকবার, মৃত একাধিক ব্যক্তির নাম, কোনো কোনো গ্রামে হিন্দু পরিবার না থাকলেও দেয়া হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূয়া নাম, তালিকায় ছেলের নাম হিন্দু পিতার নাম মুসলমান দিয়েও আত্মসাত করা হয় চাল। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকার চাল আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় ২০২০ সালের (৭ জুলাই) স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফা আইনি লড়াই করে চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাননি। সুস্পষ্ট ভাবে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় উচ্চ আদালত বরখাস্তের আদেশ বহাল রেখে মামলা নিষ্পত্তি করেন। ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গজনাইপুর ইউনিয়নে দুর্নীতির দায়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন ইমদাদুর রহমান মুকুল। ওই নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে মুকুলের নিয়ন্ত্রাধীন এলাকার ৩টি ভোট সেন্টার থেকে ৫ জনকে আটক করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনের পর-পর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ২০২৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করেন ইমদাদুর রহমান মুকুল। নির্বাচনে চরম ভরাডুবি হয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় মুকুলের।

নবীগঞ্জ উপজেলার ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নের উত্তর রামলোহ গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী গ্রেটার ম্যানচেষ্টার আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল রশিদ সেকুলের বিরোদ্ধে তার আপন ভাইয়ের সকল জায়গা জমি বাড়িঘরসহ দখল ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি নিজের দলীয় পরিচয় গোপন করে গত ৩০ই মার্চ দেশের বাড়িতে আসেন। বর্তমানে অবস্থান করে সকল ভাই বোনের সম্পত্তি  অবৈধ ভাবে দখল করার পরিকল্পনা অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। টাকার বিনিময়ে  থানা পুলিশকে ভূল তথ্য দিয়ে বাড়ির মহিলাদের উপর হয়রানীর অভিযোগ করেন তার আপন ভাই শামীম আলী। ইতিপূর্বে ওই আব্দুর রশিদ সেকুল আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে জোর পূর্বক ভাবে স্থানীয় দুষ্ট লোকের মাধ্যমে ভাই বোনের সকল সম্পত্তি তিনি জোর পূর্বক নিজে ভোগ দখল করেন। বর্তমানে শামীম আলী যুক্তরাজ্য অবস্থান করচ্ছেন। তিনি কিছুদিনের মধ্যে দেশে এসে তার  মালিকানাজায়গাসহ পৈতিক সম্পত্তির জন্য আইনের আশ্রয় নিবেন। শামীম আলী সৈরাশাসক আওয়ামীলীগের দূসর  তথ্য গোপনকারী যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুর রশিদ সেকুলের  বিরোদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান ।  

 
 
 
 

জুলাই-আগষ্টের পট-পরিবর্তনের পর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন’কে সামনে রেখে নবীগঞ্জ-বাহুবল নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে শুরু হয়েছে গুরু শিষ্যের লড়াই। দীর্ঘদিন ধরে তৃর্ণমুল পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য গুরু আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া’র সাথে এবার দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে আনতে প্রাণপন চেষ্টা করছেন শিষ্য সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী। বিষয়টি এখন নবীগঞ্জসহ ওই আসনের সর্বত্র টক অব দ্যা টাউন হয়ে দাড়িয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এক সময়ে সাবেক এমপি গুরু শেখ সুজাত মিয়ার হাত ধরে কেন্দ্রীয় বিএনপির হেভিয়েট নেতাদের সান্নিধ্যে যাওয়া সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলাদা বলয় তৈরী করে শেখ সুজাত মিয়াকে বেকায়দায় পালানোর চেষ্টা করছেন। নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ জাতীয় সংসদ সদস্য পদটি ঘিরে। সেই এমপি পদটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে এবার মাঠে চলছে গুরু ও তার শিষ্যের লড়াই। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা গুরুর জনবিমুখ ও একই সাথে সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিষ্যের জনমুখো হওয়া নিয়ে হিসেব কষছেন সাধারন জনগন। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে উভয়ের কর্মের আলোকে জনমুখো ও কর্মফলের কারণে তাদের এ লড়াইয়ে জনগনের মুখে মুখে রয়েছে বিকল্প প্রার্থীর নাম। কারণ আওয়ামী দুঃশাসনের সময় এই দু’জনই বিএনপির পক্ষে মাঠে সক্রিয় ছিলেন না। গুরু শেখ সুজাত মিয়া লন্ডনে এবং শিষ্য সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী আওয়ামী নেতাদের সাথে লিয়াজু করে বীরদর্পে মেয়র পদ আগলে রেখেছেন। তৎকালীন সময়ে উনার বিভিন্ন ব্যানার ফেষ্টুন বা বিল বোর্ডে দলীয় প্রধান বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। এক্ষেত্রে সাবেক এমপি শেখ সুজাত প্রবাসে থাকলে দলীয় প্রধানদের ছবি সম্বোলিত পোষ্টার সাটিয়ে প্রচার চালিয়েছেন দু’ উপজেলায়। দলীয় সুত্রে জানাযায়, সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া বিএনপি রাজনীতিতে যোগদানের পর থেকে তৃর্ণমুল পর্যায়ে দল ঢেলে সাজিয়েছেন। নবীগঞ্জ-বাহুবলের এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে সুজাত মিয়া যাননি বা তাকে চিননা এমন লোক আছে। সাধারণ মানুষের সুখে-দুখে পাশে থাকায় আলোচনার শীর্ষে আসে তার নাম। নারী-পুরুষ, যুবকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মুখে মুখে শেখ সুজাতে ধ্বনি উচ্চরিত হয়ে উঠেছিল। তার পুরুস্কার হিসেবে আওয়ামী সরকারের আমলে উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের হেভিয়েট প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। বর্তমানে নবীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একাধিক গ্রুপ রয়েছে। এরমধ্যে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। যেখানে রয়েছেন সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীসহ নেতাকর্মী। আমেরিকা সিকাগো বিএনপি সভাপতি শাহ মোজ্জাম্মেল নান্টু সমর্থিত বিএনপি বিশাল একটি অংশ। সিলেট বিভাগের দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছ সমর্থিত যুবদলসহ বিএনপির একটি অংশ। একাধিক গ্রুপিয়ের কারনে বিএনপি মাঠ শুন্য হয়ে পড়ে। জুলাই-আগষ্টের বিপ্লবের পর আবারও চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। ইতিমধ্যে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া দেশে ফিরে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। আমেরিকা থেকে  দেশে আসেন শাহ মোজ্জাম্মেল আলী নান্টু। তিনি উনার বাড়ীতে পারিবারিক অনুষ্টান রাজৈনিতক অনুষ্টান সভা সমাবেশের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলাসহ তৃর্ণমুল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ঘটিয়ে নাড়া দিয়েছেন। লন্ডন থেকে তালহা চৌধুরী স্বল্প দিনের জন্য এসেই নেমে পড়েন মাঠে। দলীয় ৩১ দফার লিফলেট নিয়ে হাটে, মাঠে ঘরে ঘরে পৌছে দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে দেয়াল লিখন, গেইট র্নিমাণ, ব্যানার, পোষ্টার ও লিফলেট বিতরণ। সাবেক এমপি যখন দেয়াল লিখন ও গেইট নির্মাণ শুরু করেন, টিক তখনই ভিন্ন রূপে দেয়াল লিখন ও গেইট নির্মাণ করে প্রচারনায় নামেন সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী। একই ঘরোয়ার দু শীর্ষ নেতার এমন প্রচারনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার নতুন মোড় নেয়। শিষ্য সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর এমন প্রচারনায় সোস্যাল মিডিয়ায় নানা ভাবে লেখালেখি ভাইরাল হচ্ছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন দল ক্ষমতায় আসার আগেই উনার বালু মহাল বানিজ্য, হাট বাজার ইজারা, টেন্ডারবাজিসহ দীর্ঘ ১৭ বছরের মধ্যে দলীয় প্রধানদের ছবি ব্যতিত বিল বোর্ড, ব্যানার ও পোষ্টার লাগিয়ে ঈদ শুভেচ্ছাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের। তাও ছিল পৌর সভার সীমানার মধ্যে। কিন্তু এবার দলীয় প্রধানদের ছবি ব্যবহার করে নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকায় প্রচারনা চালানো হচ্ছে। যদিও তৃর্ণমুল পর্যায়ে উনার অবস্থা এতো টুকু মজবুত নয়, তবুও থেমে নেই প্রচারনা। সাধারণ নেতাকর্মীদের অভিমত যত গ্রæপিং, লবিং হউক না কেন এই আসনে শেখ সুজাত মিয়ার বিকল্প নেই। কারণ নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনীয় এলাকায় এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে নারী-পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ শেখ সুজাত মিয়াকে ছিনেন না। তৃর্ণমুল পর্যায়ে শেখ সুজাতের নাম দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। এর বাহিরে চিন্তা করলে এই আসনটি হাত ছাড়া হতে পারে বিএনপির। তবে গুরু শিষ্যের মনোনয়ন লড়াইয়ে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে বলেও ধারনা ত্যাগী নেতাকর্মীদের। এছাড়া ওই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায় রয়েছেন আমেরিকা সিকাগো সভাপতি শাহ মোজ্জাম্মেল আলী নান্টু। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি হবিগঞ্জ সদর আসনে প্রার্থীতা ঘোষনা দিলেও বাকী ৩টি আসনে এখন কোন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। শেষ পর্যন্ত নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনে কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন তা কেন্দ্রীয় কমিটি বা দলের পার্লামেন্ট বোর্ডই বলতে পারবেন। তবে ওই আসনে গুরু শিষ্যের মনোনয়ন প্রত্যাশায় রাজনৈতিক অঙ্গনে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।



হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার হাসপাতাল রোডের শান্তিপাড়া এলাকায় মা রাহেনা বেগম (৬০)কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছেলে তানভীর আহমেদ চৌধুরী। এঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় রাহেনা বেগমকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে । অন্যদিকে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাষন্ড ছেলে তানভীর আহমেদ চৌধুরী (৩২) কে আটক করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।শুক্রবার রাতে নবীগঞ্জ পৌরসভার হাসপাতাল রোডের শান্তিপাড়া এলাকায় রাহেনা বেগমের নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রাহেনা বেগম কুর্শি ইউনিয়নের রাইয়াপুর গ্রামের জুনেদ আহমদ চৌধুরীর স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়- দীর্ঘদিন ধরে ছেলে সন্তান নিয়ে নবীগঞ্জ পৌরসভার হাসপাতাল রোডের শান্তিপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন রাহেনা বেগম। রাত ৯টার দিকে রাহেনা বেগম ভাত খেতে বসলে ছেলে তানভীর আহমেদ চৌধুরী দা দিয়ে মা রাহেনা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এতে রাহেনা বেগম গুরুতর আহত  হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুমুর্ষ অবস্থায় রাহেনা বেগমকে সিলেট প্রেরণ করেন। এদিকে তাৎক্ষনিক নবীগঞ্জ থানা পুলিশ নবীগঞ্জ পৌরসভার হাসপাতাল রোডের শান্তিপাড়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় অভিযুক্ত তানভীর আহমেদ চৌধুরী (৩২) কে আটক করেছে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন- ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত তানভীর আহমেদ চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে।                                             

নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামে ঈদগাহে ঈদের জামাত পড়া নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাইয়ুম (৫০) নামে এক ব্যক্তি’কে হত্যার দায়ে মামলার প্রধান আসামী কাজী মোজাহিদ (৩২ )কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯ এর একটি দল। পরে ধৃত মোজাহিদকে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধৃত মোজাহিদ ওই গ্রামের কাজী সুন্দর আলীর ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার অধিকাংশ লোকজন প্রত্যেক বছর সদরঘাট দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবস্থিত সৈয়দ আলী ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করেন। সম্প্রতি সৈয়দ আলী ঈদগাহের জায়গা ওয়াকফের কাগজ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় পশ্চিমপাড়ার লোকজনের মধ্যে দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবস্থিত সৈয়দ আলী ঈদগাহে ঈদের জামাত পড়া নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।২৯ মার্চ শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজের পর ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত পড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সদরঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার মুরুব্বিয়ানরা সদরঘাট গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে জড়ো হন। এ সময় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে মুরুব্বিয়ানরা মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার সময় মসজিদের সামনে কাজী সুন্দর আলীর ছেলে কাজী মোজাহিদ মিয়া সদরঘাট দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল কাইয়ুমকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন। আহত আব্দুল কাইয়ুমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুমকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপর হত্যাকারী কাজী মোজাহিদ আত্মগোপনে চলে যায়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার মামলা নং-৩৪/৭৫, তারিখ-২৯/০৩/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এর মুলে রুজু হয়। পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। এদিকে এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ রাত ০২:১৫ ঘাটকার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন ০৫নং হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া চেঙ্গামুড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী কাজী মোজাহিদ (৩২)কে গ্রেফতার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ সদর দপ্তর সিলেটের অতিঃ পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার ) কে,এম, শহিদুল ইসলাম সোহাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামী কাজী মোজাহিদ কে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উক্ত মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 

নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুরে গামলা সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিপক্ষের দাবী যুবলীগ নেতা জুয়েল ও তার লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় চোরাগুপ্তা হামলা সহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ২১ মার্চ দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাউদপুর গ্রামের মৃত আব্দুস শহিদ মিয়ার পুত্র দিনমজুর আলমগীর মিয়াকে জুয়েলের বাড়িতে নিয়ে মারপিট করা হয়। পরে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশের সহায়তায় আলমগীরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।এর জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৫/২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি এম মুজিবুর রহমান গুরুতর আহত হন। এমনকি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক এম. মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপণ করেন। এনিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকেও নিন্দা জানানো হয়।এদিকে দীঘলবাক ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম জুয়েল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এলাকায় ও গ্রামের সাধারণ মানুষকে হামলা ও নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।সৃষ্ট বিরোধ মিমাংসা কল্পে ২৮ গ্রামের বিশিষ্ট সালিশ বিচারকগণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ একাধিকবার চেষ্টা করেও জুয়েল কে সামাজিক বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছালিক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় সামাজিক ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেছি বিষয়টি আপোষে মিমাংসা করার জন্য। কিন্তু ফখরুল ইসলাম জুয়েল ও তার লোকজন বিচার সালিশ অমান্য করেছেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন বিবিয়ানা শিল্পাঞ্চল হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম খসরু বলেন, দাউদপুর গ্রামের সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে গ্রামটিতে মারাত্মকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।এ বিষয়ে আহত সাংবাদিক এম. মুজিবুর রহমান বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি নিজেও গুরুতর আহত হন এবং যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম জুয়েল এর চাচা আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মিয়ার পুত্র বহুল লিটন মিয়ার দায়েরকৃত ষড়যন্ত্র মূলক একটি মামলায় তাকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। দাউদপুর গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ, জুয়েল ও তার লোকজন গ্রামের রাস্তাঘাটে অস্ত্র শস্ত্র সহকারে দিনে রাতে দল বেঁধে মহড়া দিয়ে অরাজকতা সৃস্টি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, সাংবাদিক এম.মুজিবুর রহমান প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন, যাহাতে সংঘর্ষ না হয়, এমনকি সৃষ্ট বিরোধ সামাজিক ভাবে মিমাংসার স্বার্থে আন্তরিক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তবে কেহ যদি মুজিবুর রহমানকে আসামী করে মামলা দেয়, এতে ওসির কিছু করার থাকেনা। তবে জুয়েল বাহিনীর লোকজন সামাজিক শালিস বিচার অমান্য করায় পরিস্থিতি উত্তাল বলেও তিনি স্বীকার করেন।

 

নবীগঞ্জের বাউসা ইউনিয়নের ইমামবাঐ গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত রুসমত উল্লাহ পুত্র মাহমুদ আলীর (৬০) মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু এ নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে অপেক্ষা করতে হবে ময়না তদন্তের রিপোর্টে পর্যন্ত। অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে কেউ কেউ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল শুক্রবার রাতে তার নিজ বাড়িতে মাহমুদ আলী অসুস্থ্য হন। পরে তার স্ত্রী রূপতারা ও পরিবারের লোকজন রাতে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। হাসপাতাল থেকে লাশ মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন গ্রহন না করায় কর্তব্যরত ডাক্তার নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে নবীগঞ্জ থানার সাব ইন্সেপেক্টর তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতালে গেলে মৃত ব্যক্তির সৎ ভাই রিপন, ছানু বলেন, তার ভাই মাহমুদ আলীর সাথে গত ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকালে গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তিনি মারা গেছেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসেন। শনিবারে ময়না তদন্তে শেষে লাশ ওই রাত সাড়ে ৮টার দিকে দাফন করা হয়।এলাকাবাসী ও থানার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ঈদের দিন সকালে বাউসা ইউনিয়নের ইমামবাঐ গ্রামের মৃত সাবাজ মিয়ার পুত্র মোঃ ছানু মিয়ার সাথে একই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত রুসমত উল্লাহ পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা রিপন মিয়া, করম মিয়া, ছানু মিয়া, মাহমুদ আলী, নুনু মিয়া ও রুনু মিয়া গংদের সাথে পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাধে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। এর জের ধরে ঈদের নামায আদায় করে বাড়িতে যাওয়ার পথে রাস্তায় ছানু মিয়ার ভাগনা আহমদ রাজুকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনা উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওই ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান শিশু, গ্রামের বিশিষ্ট্য মুরুব্বী ফজলু মিয়াসহ অনেকই সালিশে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষ সম্মতি দেয়। উভয় পক্ষের সম্মতিতে সোমবার শালিস অনুষ্ঠিত হবার কথা। এরই মাঝে গত শুক্রবার রাতে মাহমুদ আলী অসস্থ্য হয়ে পড়েন। সাথে সাথে হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত মাহমুদ আলীর সৎ ভাই রিপন মিয়া জানান, আমার ভাই ঈদের জামাত শেষে বাবার কবর জিয়ারত করে বাড়ি আসার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়। তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এর ৩ দিন পর তিনি বাড়িতে মারা যান। ডাঃ রাশেদ খান জানান, হাসাপাতালে মাহমুদ আলীকে মৃত নিয়ে আসা হয়। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি মাহমুদ আলী মারামারি করে আহত হওয়ার ঘটনায় তিনি মারা গেছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বুঝা যাবে না এটা হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু। নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত দুলাল মাহমুদ বলেন, পিএম রিপোর্টে আসলে বলা যাবে আসলে হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু।প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি হাট হ্যার্টাক করে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগে আমরা লাশের সুরতহাল করে লাশ মর্গে প্রেরন করি।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« April 2025 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
  1 2 3 4 5 6
7 8 9 10 11 12 13
14 15 16 17 18 19 20
21 22 23 24 25 26 27
28 29 30