ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দিনারপুর সাকিনস্ত গালিব নুর পেট্রোল পাম্পের সামনে ট্রাক ভর্তি বালুগাড়ি ও পিকআপের সংঘর্ষে হেলপার নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় চালক আহত হন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ ঘটিকা এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় । হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, (০৩ অক্টোবর) সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দিনারপুর সাকিনস্ত গালিব নুর পেট্রোল পাম্পে সামনে ঢাকাগামী বালু ভতি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১৮-৫৫৯৪) ও সিলেট গামী পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন ১৮-৭৫৪১) আসা মাত্র সংঘর্ষে পিকআপের হেলপার নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাইয়ূম মিয়া (৩৫)নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন চালক রংপুর জেলার শ্রী চন্দন চন্দ্র। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটি উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়।দুর্ঘটনায় কবলিত বালু ভতি ট্রাক ও পিকআপ শেরপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ জব্দ করেছে। নিহত ও দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হাইওয়ে থানার এস আই হাসিউল ইসলাম।
নবীগঞ্জ উপজেলার বানিউন গ্রামে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির শিকার বানিউন গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ জুবায়েল আহমদ বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জিয়া উদ্দিন (৪৪)কে আসামী করে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগঃ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন- “আসামীর সহিত বিভিন্ন বিষয়ান্তরে মনোমালিন্যতা ও বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। উক্ত ভূমিতে আমরা চাষাবাদ করিতে গেলেই বিভিন্ন সময় আসামী ও তাহার সহযোগিরা বিভিন্ন প্রকার বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ইদানিং আসামী ও তার সহযোগিরা নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমিতে আমি ও আমার লোকজন চাষাবাদ করিতে গেলেই ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। আমি এ ব্যাপারে এলাকার ময়-মুরুব্বীয়ানকে অবহিত করিলে আসামী আমাদের প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হইয়া আমাদেরকে জানে মালে ক্ষতিগ্রস্ত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকিয়া ১৪/০৯/২০২৪ইং তারিখ রোজ শনিবার, সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আমি আমার নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমি দেখিতে গেলে তথায় পূর্ব হইতে উৎপাতিয়া থাকা উল্লেখিত আসামী ও অজ্ঞাত নামা আসামীরা আমাকে চারদিক হইতে ঘিরিয়া ধরে। তখন আসামী জিয়া উদ্দিন তাহার হাতে থাকা রামদা আমার গলায় ধরিয়া হুমকী দিয়া বলে এই জমি ভোগ দখল করিতে বা চাষাবাদ করিতে চাহিলে আমাকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। অন্যথায় এখানে আসিলে তোকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিব। এইরূপ হুমকী শুনিয়া আমি হত বিহবল হইয়া পড়ি। আমি আসামীকে কোনরূপ চাঁদা প্রদান করিতে পারিব না বলিলে আসামীর সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত আসামীরা আমাকে কিল, ঘুষি মারিয়া আহত করে। আমি প্রাণ রক্ষার্থে শোর চিৎকার করিলে আশপাশ হইতে কোন কোন সাক্ষীগণ দৌড়াইয়া আগাইয়া আসিয়া দূর্দান্ত আসামীর কবল হইতে আমাকে প্রাণে রক্ষা করেন। অন্যথায় দূর্দান্ত আসামী আমাকে নিশ্চিত খুন করিয়া ফেলিত। এই সময় আসামী আমাকে হুমকী দিয়া বলে ভবিষ্যতে কোন দিন আমি ময়-মুরুব্বীয়ানের নিকট বিচার চাহিলে বা মামলা মোকদ্দমা করিলে আমাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।মামলায় বাদী জুবায়েল আহমদ আসামীকে দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪ জন ডাকাত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আউশাকান্দি এলাকা থেকে ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ০১/১০/২০২৪ তারিখ রাতে
সিলেট থেকে গরু ব্যাবসায়ীরা কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মডেল বাজার সংলগ্ন ব্রীজের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জন ডাকাত মোঃ এনায়েতুল( এনাতুল বেপারী) বিভিন্ন রংয়ের ৩৯ টি ডেকা বাছুর মূল্য-১৬,০৫,৫০০/- টাকা ও একটি ট্রাক গাড়ী মূল্য অনুমান-২৬,০০,০০০/- টাকা, বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল ফোন ০৫টি মূল্য অনুমান ১৮,০০০/- টাকা এবং নগদ- ২,৫০,০০০/- টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় মোঃ এনায়েতুল (এনাতুল বেপারী) (৩৮) বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার মামলা তদন্ত ভার গ্রহণ করেন। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ডাকাতির মাত্র ০৩ (তিন) ঘন্টার মধ্যেই হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রেজাউল হক খান এর দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার, এসআই/পিযুষ কান্তি দেবনাথ ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ইং ০১/১০/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাত ১১.৩৫ ঘটিকার সময় উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নস্থ টোলপ্লাজার সামনে গোপলা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত চক্রোর ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলো, মৌলভী বাজার উপজেলার শেরপুর ব্রাহ্মনগ্রামের মৃত আজমান আলীর পুত্র মোঃ সৈয়দুর রহমান (৩০), ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের জফির মিয়ার পুত্র সামসুদ্দিন( ২৯), নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল (বনগাঁও) গ্রামের নুরুল মিয়ার পুত্র উজ্জল হোসেন( ২১), একি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র রেফু মিয়া (২৪)। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ীসহ মোঃ এনায়েতুল( এনাতুল বেপারী) ডাকাতি হওয়া বিভিন্ন রংয়ের ৩৯ টি ডেকা বাছুর ও একটি ট্রাক গাড়ী, বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল ফোন
০৫টি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই ডাকাত চক্রের সদস্য। আসামীরা ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।
নবীগঞ্জে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চার মাসের শিশুর মরদেহ।মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রাম থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, ওই গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেনের স্ত্রী মিনারা আক্তার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তার চার মাসের কন্যা শিশু মাহমুদা আক্তার মীমকে বিছানায় রেখে রান্না করার জন্য যান। রান্না শেষে এসে দেখেন বিছানায় মীম নেই। এর কিছুক্ষণ পর দেখতে পান বাড়ির পিছনে পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসছে।
এসময় তার শোরচিৎকার শুণে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে বিষয়টি অবগত করা হয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে। পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে, চার মাসের ঘুমন্ত শিশু মীম কিভাবে পুকুরে গেল বা কেউ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে কি-না তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেই নির্মম এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছেন।
নিহত শিশুর মা মিনারা আক্তার জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বাচ্চাকে বিছানায় রেখে রান্না করতে যান। রান্না শেষে এসে ফিরে দেখন তার বাচ্চা বিছানায় নেই। পরে বাড়ির পিচনে পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সফি মিয়া বলেন, ‘মীম আক্তার চার মাসের শিশু। সে বিছানা থেকে নিচে পড়তে পারে। কিন্তু পুকুরে কিভাবে গেল বিষয়টি সন্দেহজনক।’
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেণ, ‘চরগাঁও গ্রামে চার মাসের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পুকুরের পানি থেকে। বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তের পর বিস্তারিত ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।’
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ পলাতক আসামী ডাঃ আসাদ হোসাইন (৩৭)কে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার সকালে গোপন সংবাদ ভিত্তিতে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হবিগঞ্জ সদর এলাকা থেকে পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর নির্দেশনায় এএসআই মোঃ ওয়াশিম এর নেতৃত্বে ও হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশের সহযোগিতায় একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেন।গ্রেফতারকৃত আসামী কালীরভাঙ্গা ইউনিয়নের মৃত ইলিয়াছ হোসেন এর পুত্র। দায়রা-১২৯০/২২ মামলায় ০৬ মাসের বিনাশ্রম সাজা এবং ১০ লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডপ্রাপ্ত এবং দায়রা নং-৩১১/২২ মামলায় ০৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ পলাতক আসামী ডাঃ আসাদ হোসাইন (৩৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় কর্মকারের দোকানে চুরির ঘটনার ২০ দিন পর চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন। পুলিশ জানায়- ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নবীগঞ্জ শহরের নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের কর্মকার সুকুমার চন্দ্র দেবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনের দরজা ভেঙে সংঘবদ্ধ চোরচক্র দা-বটি, কুদাল, কুড়ালসহ প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরর পর নবীগঞ্জ থানার এসআই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমন মিয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসমানী নগর থানার তাজপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বিশ্বনাথ উপজেলার সৎপুর টেকিরবাজার এলাকার ছমির মিয়ার ছেলে জাফর মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১৮ পিস বটি দা উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত জাফর মিয়াকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে আসামী জাফর মিয়ার দেয়া তথ্যমতে নবীগঞ্জ থানার এসআই সুমন মিয়া, এএসআই সুব্রত কুমার দাশসহকারে একদল পুলিশ সিলেট শহরের কাজিরবাজার অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ২৬টি দা, ২০টি বটি দা, ২৫টি কোদাল, ১২টি সুপারি কাটার লোহার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন বলেন, আসামীকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে চোরাই মালামালের মধ্যে ২৫ হাজার ৮০০ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারে ও চুরির ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কী না এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
ভারতে মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি ও বিজেপির সাংসদ নিতেশ রানের সমর্থনের প্রতিবাদে নবীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সর্বস্তরের তাওহীদি জনতা। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জুম্মা সর্বস্তরের তাওহীদি জনতা নবীগঞ্জ পৌরশহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। নবীগঞ্জ শহরের গাজির টেক পয়েন্ট থেকে মিছিলটি যাত্রা শুরু করে শহর প্রদক্ষিণ শেষে ফের গাজির টেক পয়েন্টে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুপ নেয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নামে জঘন্য মিথ্যাচার ও কটূক্তি করে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। তাতে বিজেপির সংসদ সদস্য নিতেশ রান সমর্থন করেছেন। এতে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তকরণ হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ সময় বক্তারা অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
নবীগঞ্জে বাজার ব্যবসায়ী রাজন হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা রসূলগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে রসূলগঞ্জ বাজারে মানব বন্ধনটি অনুষ্টিত হয়।উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, যুবক,ছাত্র ,মহিলা শিশুসহ অসংখ্য লোকজন অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নবীগঞ্জ রসূলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীর সমিতির সভাপতি সেকুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সামাদ মিয়া,আঃ কাদির মুরুব্বি, আঃ ছুবান, মংগা মিলা, ফয়জুর রহমান, নুরুল হক, জয়নাল মিয়া, নিহত রাজনের মা,ভাই মগল মিয়া, স্ত্রী নিশি বেগম , মুহিত মিয়া, মুজিব মিয়া প্রমুখ। নিহত রাজন মিয়া (২০) হলেন নবীগঞ্জ বাউসা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার পুত্র। রাজনের স্ত্রী নিশি বেগম তার বক্তব্যে বলেন, রাজন মিয়া তার বড় ভাই মগল মিয়ার লিজকৃত নতুন বাজারে ফিসারিতে কাজ করে। রাজন মিয়ার সাথে একই গ্রামের আজিজুর মিয়ার ১ মাস পূর্বে টাকা নিয়ে বিরোধ হয়েছিল। গ্রাম্য সালিশ বিচারে তা সমাধান হয়। সমাধানের পর ৭,৮ দিন তাদের মধ্যে কোন দেখা সাক্ষাৎ ছিল না। এরপর থেকেই প্রায় সময় আজিজুর রহমান রাজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে তার বাড়িয়ে যায়। ঘটনার দিন রাতে ১০ টার সময় আজিজুর রহমান তার সাথে তার ভাই সাইফুল মিয়া,নাঈম আহমেদ,সাগর মিয়া,সাগর আহমেদকে সাথে নিয়ে ২টি মোটরসাইকেল নিয়ে রাজনের খোঁজে তার বাড়িতে যায়। তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার খোজে নতুন বাজার ফিশারিতে গিয়ে তাকে সাথে নিয়ে নবীগঞ্জ বাজারে আসে। নবীগঞ্জ বাজারে এসে তারা হোটেলে রাতের খাবার খায়। রাতের খাবার শেষে আজিজুর রহমান রাজনকে সাথে নিয়ে নতুন বাজার যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে রওনা হয়। নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ রোডের পৌর এলাকার শান্তিপাড়া এলাকায় এসে চলতি মোটরসাইকেল থেকে থাকে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে মোটরসাইকেল রেখে তারা পালিয়ে যায়। মোটরসাইকেল থেকে প্রায় ১০০ হাত দূরে রাজন মিয়াকে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। রাজনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজনের পরিবার ও এলাকাবাসীরা দাবী জানান সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ বিচার এর দাবী করেন।
নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ রোডের পৌর এলাকার শান্তি পাড়া এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১ জন যুবক নিহত ও অপর যুবক গুরুতর আহতর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ১২ টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত যুবক হলো,সুজাপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র রাজন মিয়া (২০),গুরতর আহত হলো,একই গ্রামের সাহেব আলী মিয়ার পুত্র আজিজুর মিয়া (২০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজন মিয়া স্থানীয় নতুন বাজারে ফিশারিতে কাজ করে। রাত ৯ টার দিকে রাজন মিয়া ও আজিজুর মিয়া বাড়ি থেকে এক সাথে বের হয়েছিলেন ফিশারিতে যাওয়ার জন্য। রাজন মিয়া ফিশারি থেকে আজিজুর মিয়াকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নবীগঞ্জ আসার পথিমধ্যে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আপর আহত আজিজুর মিয়া সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি বাউসা ইউপি সদস্য মনির মিয়ার হেফাজতে রয়েছে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউপি সদস্য মনির মিয়া।
নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরদী ঘোনাপাড়া মুরাদপুর এলাকার মাহমুদ আলী গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে তার গর্ভবতী স্ত্রী নিছফা আক্তার কে স্বজোড়ে লাথি মারলে সে গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যুর খোলে ঢলে পড়েন। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এদিকে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে আটককৃত মাহমুদ কে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ধৃত মাহমুদ ওই এলাকার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উক্ত মাহমুদ আলী প্রায় ১৭ বছর পুর্বে উপজেলার করগাও ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে নিছফা আক্তার কে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিমধ্যে মাহমুদ আলী পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামে বিয়ে করে। ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ২য় স্ত্রী কে নিয়ে বাড়িতে যায় মাহমুদ। এনিয়ে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ১ম স্ত্রী নিছফা আক্তার ও তার স্বামীর মাহমুদ আলীর মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মাহমুদ আলী স্বজোড়ে স্ত্রী নিছফা আক্তারের পেটে লাথি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যু বরণ করে। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এ সময় ঘাতক স্বামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, নিহতের পরিবার কোন মামলা দেয়নি। তবে আটককৃত মাহমুদ কে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।