Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Sunday, 23 March 2025

Shamim Chowdhury

Shamim Chowdhury

সম্পাদক :

www.nabiganjerdak.com

www.tribute71.com

সম্পাদকীয় :  "দেশ পরিচালনায় ডক্টর মোঃ ইউনুসকে  কোন ভাবেই সফল হতে না দেওয়ার  পরিকল্পনার অংশ হিসাবে  বি.এন.পি. প্রসিডেন্ট চুপ্পুকে  স্বপদে রেখে দেওয়ার  গু-ধরে।"   চুপ্পুকে প্রেসিডেন্ট পদে রেখে  দেওয়ার  মানেই হলো ডক্টর ইউনুসসহ বিপ্লবীদের শক্তিকে অর্ধেক করে দেওয়া।  স্বৈরাচারের সেকেন্ড ইনকমাণ্ড এই চুপ্পুর স্বাক্ষর ছাড়া ডক্টর ইউনুস কাউকে হায়ারিং ফায়ারিংগ, কোন  কিচ্ছুই  করতে পারবেননা।

    ইউনুস সরকারের হাতে  হায়ারিং ফায়ারিংয়ের ক্ষমতা না দেওয়া  এই  বিএনপির  নেতা-নেত্রীই আজ  ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে   স্বৈরাচারের  দুসর  আমলাদের  ফায়ারিং  না করার   অপবাদ দিয়ে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছেন,  অপবাদের খৈ ফুটাচ্ছেন ।তার কারন ,  আজকের বি.এন.পি'র নেতা নেত্রীর বেশির ভাগই আওয়ামীলীগের উচ্ছিস্ট।   ফজলু , হাবিবের মত মোটা মাথার নেতা -নেত্রীরা   তীক্ষ্ন বুদ্ধি সম্পন্ন আওয়ামীলীগারদের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেরে মিষ্টি কথায় সহজে পদ ভাগিয়ে  নিতে  বিএনপিতে ডুকে পরে।   এদের কারনে  বিএনপি দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হয়!!

আওয়ামীলীগ নয় বি.এন.পি. পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান??

খালেদা জিয়ার মত সৎ নেত্রী থাকার পরও বি.এন.পি পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান  হয়েছে, শুধু মাত্র  ওই সব মাথা মোটা নেতাদের আগা থেকে মাথা পর্যন্ত  সব  গিলে খাওয়ার  উগ্র বাসনা  থেকে।

       আওয়ামীলী প্রজেক্টের নামে বিদেশ থেকে  বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এনে হাওয়ার উপর গিলে দেশে দেশে বেগম পাড়া গড়েছে , বিশ্বের নানান দেশের সবোর্চ্চ  বিলিয়নার বনেছে অথচ  বি.এন.পি'  হাওয়া ভবনের নামে পাহাড় সমান অভিযোগ!!!

     তারা নাকি  চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, ফাইল আটকে টাকা আদায় এমন কি  পাড়া মহল্লার দোকানে দোকানে  চাঁদাবাজি, ছিচকে চুরি করে জনগনের জীবন বিভীষিকাময় করে তুলেছিলো।

        আওয়ামীলীগ  ক্ষুদ খেয়ে ক্ষুধা  নষ্ট করার মত  বোকামি না করে  জন্যগনের চোখে ধুলা দিয়ে  দিনে দুপুরে আস্তো হাতি গিলে খেয়েছে। স্টক মার্কেট , ব্যাঙ্ক-বীমা , রেল , বিমান  এমনকি  রাষ্ট্রীয় কোষাগারও আওয়ামীলীগের ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।   তারপরও আওয়ামীলীগ দুর্নীতিতে চেম্পিয়ন হয়নি!!!!

চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য , চোরি , ডাকাতি, ছিনতাই, রাহানজানি আর  সিন্ডিকেট করা ব্যবসায়ী নামক প্রতিটি নরাধমের  আজ  চক্ষু শুলে পরিণত হয়েছেন  : মোহাম্মদ  ইউনুস।

তার  সরকারকে ব্যর্থ  করতে  বিএনপিআরআওয়ামীলীগএকজোটহয়েছে।

সাথে আছে  সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো ব্যবসায়ীরাও

তার প্রমান :

ছাত্রলীগ-শ্রমিক দল  সমন্বয়ে ইউনাইটেড ডাকাতি সংঘের   বনশ্রীতে ডাকাতি:

 

বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের চাঁদাবাজির স্পটগ গুলো হাত বদল হয়ে  এখন বিএনপির দখলে। ডিফারেন্স শুধু ,

ক্ষমতায় থাকার কারনে আওয়ামীলীগের  চাঁদাবাজদের  কোন দিন পুলিশের হাতে এরেস্ট হতে হয়নি আর ক্ষমতায় না থাকার কারনে বিএনপির চাঁদাবাজদের  পুলিশের হাতে এরেস্ট হতে  হচ্ছে !! আওয়ামীলীগের মত  নির্বিগ্ন  চাদাঁবাজি জন্য বিএনপিকে  অতিশীঘ্রই ক্ষমতায়  যেতে হবে। হালুয়া রুটির ভাগ নিতে  বিএনপির ছোট বড় মাজারী সব নেতার কণ্ঠে  আজ একই আওয়াজ, নির্বাচন চাই, দিতে হবে । 

 

 লাইটার জাহাজগুলোকে পণ্য খালাসের  ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম !

—————————————————————————

  অসাধু ব্যবসায়ীরা   রমজানে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম  সংকট সৃষ্টি করে  আংগুল ফুলে কলা গাছ হতে ভোজ্যপণ্য আর নিত্যপ্রয়োজীয় মালামালকে বাজারে না ছেড়ে  সাগরে লাইটার জাহাজগুলাতে  গুদামজাত করে রাখে  

সরকারের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামে  তাদের আশায় গুড়ে বালি পড়ায় এরা ইউনুস সরকারের উপর ক্ষুব্দ

তারাও দ্রুত নির্বাচন চায়।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানিকারকরা বন্দরের জলসীমায় নয়, খালাস পয়েন্টে বিভিন্ন ঘাটে লাইটারেজ জাহাজকে ভাসমান গুদাম বানিয়ে রেখেছেন।

 

https://youtu.be/DwKM6hHQIhI?si=TyfPupX-5BOPyXnU

 

 

https://ekhon.tv/economy/67d10c375ae3005c96541aaf

সম্পাদকীয় :  "স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তিপাক " নিজের বুকে পিঠে লিখে বন্ধুকের গুলির সামনে দাঁড়িয়েছিল শহীদ নূর হুসেন, দেশ মাতৃকার কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা রক্ত পিপাসু স্বৈরাচারী ড্রাকুলাকে তাড়িয়ে  গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বিনির্মানের জন্য । ডাক্তার মিলন জাফর, জয়নাল, দীপালী সাহা সহ অগণিত ছাত্র জনতা রক্ত দিয়ে এরশাদেরশাহীর পতন ঘটিয়ে, আওয়ামীলীগ আর বিএনপি করা রাজনীতিবিদদের হাতে দেশ তুলে দিয়ে যার যার ক্ষেত্রে ফিরে যায়।

 ছাত্র জনতার রক্তে বি.এন.পি-আওয়ামীলীগের :"মোটা তাজাকরন প্রকল্প " !!
আওয়ামীলীগ আর বিএনপি করা রাজনীতিবিদেরা বাঙ্গলাদেশটাকে না গড়ে নিজেদেরকে "মোটা তাজাকরন " করার প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন । কেউ কেউ গড়েন (১০%-২০% এর ) হাওয়া ভবন, আর কেউ কেউ পাড়া মহল্লায় প্রজেক্টের নামে তৈরী করেন মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার প্রকল্প : ঘাস চাষ , মাছ চাষ কিংবা খিচুড়ি রান্নার শিখার নামে দেশ থেকে বিদেশে ডলার পাচার করে বেগম পাড়া গড়ার প্রকল্প ।
যে নূরহোসেনের রক্ত বেয়ে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিলো সেই নুরহুসেনকে আওয়ামীগের মন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছিলো , "নূর হোসেন ইয়াবাখোর ছিল. "
নূর হোসেনদের আত্মদানের অবমূল্যায়ন দেখে "Generation Z" জেনে গেছে বাঁদরের গলে মুক্তোর মালা শুভা পায়না। নিজের রক্ত দিয়ে অর্জন করা সম্পদের মূল্য নিজে ব্যতীত অন্যে বুঝবেনা, অন্য সে সম্পদকে পা দিয়ে মাড়িয়ে যাবেই ।
তাই অন্য কেউ নয় "Generation Z" দেশ গড়ার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশে শুভকামনা
ধন্যবাদ Generation Z, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য।

 

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অবসরপ্রাপ্ত গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী আজ বাংলাদেশ সময় রাত বারোটা ত্রিশ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ-নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ,ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর ।May be an image of 3 people

১৯৭১ সালে ঢাকা সেনানিবাসে সিগন্যাল কোরে কর্মরত অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধকালীন সময় তিনি পাঁচ নম্বর সেক্টরের একজন সাব সেক্টর কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আগামীকাল সকালে তার মরদেহ প্রথমে সেনানিবাসের সিগন্যাল কোরে নেয়া হবে , এরপর ঢাকাস্থ সেনাকুঞ্জের নিজ বাসায় নেয়া হবে। সেখান থেকে সকাল ১১ঃ০০ টায় তার পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জ জেলার, নবীগঞ্জের উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের পুরাদিয়া গ্রামে (বৃহত্তর কামার গাঁও ) নেওয়া হবে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক গোরস্থানে মাতা পিতার কবরের পাশে সমাহিত করা হবে। 

May be an image of 4 people

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাঁচ নম্বর সেক্টরের একজন সাব সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।

সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে দলীয় প্রতীকে, এককভাবে। আমরা চাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। গত কয়েক বছরের স্থানীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকারও আশ্বস্ত করেছে ভালো পরিবেশ হবে।

 মঙ্গলবার বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় চুন্নু আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বোঝা যাবে প্রতীক বরাদ্দের পর। জাতীয় পার্টির এখন পর্যন্ত নয় জনের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। বাতিল হওয়া নয়জন আপিল করবেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট ডাবল।

 

ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারলে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমরা আওয়ামী লীগের থেকে বেশি ভোট পাবো।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, তা সময়মতোই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদ্যঃসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কেউ নির্বাচন থামাতে পারবে না, আগেও পারেনি, এবারও পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সেটা তারা আবার প্রমাণ করেছে। সন্ত্রাসীদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হয়, সেভাবে দিতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রতি বিএনপি-জামায়াতের হামলার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২৮ তারিখে ৪০-৪৫ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হলো।

 
রিপোর্টারস উইথআউট বর্ডার, এদের কাছ থেকে আপনারা কি কোনো সিমপ্যাথি পেয়েছেন? তাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পেয়েছেন? আজকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো চুপ কেন? তাদের কাছ থেকে প্রতিবাদ শুনি না কেন? তাদের কাছ থেকে কথা শুনি না কেন? আপনারা সেটি জিজ্ঞেস করেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি পুলিশ মারল। বাসে আগুন দিল। যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, আজকে তাদের সেই ভাণ্ডার বন্ধ কেন? তারা চুপ কেন?

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ করেছিলেন আমাদের সরকার কিন্তু তাদের কোনো বাধা দেয়নি।

 
তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।’

 তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখ বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটাল, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির কিছুই জুটবে না।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১২.৫% প্রবাসীর দেশে নির্বাচনে সেন্টারে সেন্টারে ১০০% ভোট কাস্ট হয়ে যাওয়া নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত করে ব্যালট বাক্সে অবৈধ ভোটের উপস্তিতি ঘটেছে । ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২১৩ টি সেন্টারে ১০০ % ভোট কাস্ট হয়েছে ! নির্বাচনে কি পরিমান অবৈধ ব্যালট কাস্ট হয়েছে তার একটি সাধারণ ধারণা পাওয়ার জন্য ১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া যে কোন একটি সেন্টারের ভোটের ডাটা বিশ্লেষণ করা দরকার .

১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া কুমিল্লা-১০ আসনের ৩৬ নং সেন্টারের ভোটের ডাটা বিশ্লেষণে করে যা দেখতে পাওয়া যায় :

১) বিএনপির প্রার্থী শূন্য ভোট পেয়েছে ?
২) প্রবাসীসহ সকল পোস্টাল ব্যালটের ভোট কাস্ট হয়েছে!
৩ ) আওয়ামীলীগের প্রার্থী পেয়েছে ৯৯.৯৬% ভোট .

 

২০১৮ সালের নির্বাচনের জরুরী কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
নির্বাচনে কোন পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়নি তাই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েই সবাইকে ভোট দিতে হয়েছে !
নির্বাচনে রেজিস্টার্ড ভোটার : ১০৪১৫০০০০ জন .
পোস্টাল ব্যালটে ভোট না নেয়ার কারনে যারা ভোট দিতে পারেনি
প্রবাসী ভোটার : ১কোটি ২৫ লক্ষ : ভোটের: ১২.৫%
নির্বাচনি কর্মকর্তা-কর্মচারি : ১৫ লক্ষ
অসুস্ত , মৃত , জেলে থাকা, হাসপাতালে থাকা , ঠিকানা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তি সব মিলিয়ে ২০% মানুষের নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় ছিলোনা।


বিএনপির প্রার্থীর শূন্য ভোট সম্পর্কে আওয়মীলীগের বক্তব্য :

A) শেখ হাসিনার মতে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করে অপরিচিত প্রার্থী দেওয়ার কারনে তারা কোন ভোট পায়নি !
B) আর, মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মতে বিএনপি শূন্য ভোট পাওয়ার মত দল নয়, তবে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা কোন ধরণের প্রচার প্রচারণা চালায়নি বলে তাদের ভোটাররা নির্বাচনে ভোট দিতে আসেনি ?
C) আর সাবেক সচিব আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খান আর সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ মনে করেন বিএনপি এখনো ২০ % থেকে ২৫% ভোট হল্ড করে .

A).
দেখা যাক , বিএনপির শূন্য ভোট পাওয়ার পিছনে শেখ হাসিনার দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু ?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর কি বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যে নমিনেশন পাওয়া একজন অযোগ্য ,অপরিচিত বা ভুইফোড় প্রার্থী?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর কোন অযোগ্য ,অপরিচিত বা ভুইফোড় প্রার্থী নন, তার আছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন. তিনি আওয়মীছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন. দুবারের এমপি এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা . অতএব শেখ হাসিনার দাবি অযৌক্তিক।

B)
এখন দেখা যাক , বিএনপির শূন্য ভোট পাওয়ার পিছনে এম.আরাফাত হুসেনের দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু ?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন, তার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে প্রচার প্রচারণা চালানো সম্ভব পর হয়নি। সময়ে অসময়ে পুলিশি ধর পাকড়ের কারনে অন্য নেতা কর্মীদেরও তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালানো সম্ভবপর হয়নি।
“প্রচার প্রচারণা না থাকার কারনে বিএনপির ভোটাররা নির্বাচনের দিন ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি ” আরাফাত হুসেনের এই দাবির পক্ষে মোটামোটি যৌক্তিকতা খোঁজে পাওয়া যায়।

C)
বিএনপির ২০% ব্যালট গেলো কোথায় ?
আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খান, শাহনেওয়াজ চৌধুরীর কথা মত বিএনপি এখনো ২০%-২৫% ভোট হোল্ড করে তাই নির্বাচনী কর্মকর্তা আর পুলিশ দায়িত্বে ৩৩৫১ এর ২০% মিনিমাম ৬৭০ টি ভোট না দেয়া ব্যালট থাকার কথা।

শুধু কি তাই , ১২.৫% প্রবাসী, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মচারী -কর্মকর্তা, পুলিশ, অসুস্ত , মৃত , জেলে থাকা, হাসপাতালে থাকা , ঠিকানা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তি সব মিলিয়ে ২০% মানুষের নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় ছিলোনা বলে ৩৩৫১ এর আরো ২০% ৬৭০ টি - ভোট না দেয়া ব্যালট নির্বাচনী কর্মকর্তা আর পুলিশ দায়িত্বে থাকার কথা।

পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্তা না থাকা আর বিএনপির কর্মী সমর্থদের কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার কারনে কেন্দ্রের মোট ভোটারের চেয়ে কম করে হলেও ১৩৭০ টি ভোট কম কাস্ট হওয়ার কথা। এই ব্যালট গুলো পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অধীনে সেইফরুমে থাকার কথা।

যে ব্যালট গুলো পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অধীনে সেইফরুমে থাকার কথা, সেই ব্যালটগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে! আমানতের খেয়ানতের জন্য পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দোষী স্বাব্যস্ত করার এর চেয়ে বড় আর কোন প্রমানের কি প্রয়োজ আছে?

ব্যাংক ভোল্টের টাকা গায়েব হলে যেমন ব্যাংকের স্টাফদের কোমরে ধরি বেঁধে থানায় চালান দেয়া হয় ঠিক তেমনি সেইফরুমের ব্যাল্টগুলো যাদের কারসাজিতে পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তারা নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছে তাদেরও কঠিন শাস্তির মুখাপেক্ষী করা দরকার।
পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বারা ব্যালট সংগ্রহ করে কোন সভ্যদেশে কেউ কোন দিন নির্বচিত হতে পারেনি। আমেরিকার ২০২০ নির্বাচনে ভার্জিনিয়া স্টেটে ঠিক এমনি একটি ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদিন। তাই আজ তিনি আদালতে কঠিন শাস্তির মুখাপেক্ষী ।
কিন্তু শেখ হাসিনা ২০১৮ এর নির্বাচনে সেন্টারে সেন্টারে নৌকা মার্কায় অজস্র অবৈধ ভোট কালেকশন করিয়েও আদালতে কোন ধরনের শাস্তির মুখাপেক্ষী হচ্ছেন না কেন?


## এটা কি সভ্য সমাজ আর  অসভ্য সমাজের পার্থক্য ?
আমেরিকার নির্বাচনে ভার্জিনিয়া সেক্রেটারি অব স্টেটকে ১১৭৮০টি ভোট খোঁজে দেওয়ার কথা বলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্গানাইজড ক্রাইম ( রিকো বা মাফিয়া ) আইনে দোষী হিসাবে বিচারের কাঠগড়ায় যে সময় উঠা নামা করতেছেন ঠিক সেসময় বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা তার সাঙ্গ পাঙ্গ দিয়ে কোটি কোটি অবৈধ ভোট কাস্ট করিয়ে শুধু প্রধান মন্ত্রী হয়েই ক্ষান্ত দেননি , নিজের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্টিত করতেও সংবিধানের দোহাই দিয়ে লাফালাফি করছেন!
আমেরিকার সংবিধান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপরাধ না করেই শুধু অপরাধ করার ইনটেনশন ছিল এই কারনে মাফিয়া আইনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আর বাংলাদেশের সংবিধান- শেখ হাসিনাকে অপরাধ করার পরও শাস্তির বদলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুরুস্কৃত করেছে এমন কি শেয়ালের হাতে মুরগি বর্গা দেওয়ার মত আবারো তার হাতে বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্টিত করার গুরু দায়িত্ব তুলে দিতে যাচ্ছে !
বাংলাদেশের সংবিধান আর আমেরিকার সংবিধানের মধ্যে এতো পার্থক্য কেন ? এক সংবিধান অপরাধীকে শাস্তি দেয় আর অপরটি অপরাধীকে পুরুস্কৃত করে? সংবিধানিক আইনের এ পার্থক্যটাকে কি সমাজের সভ্যতা নিরুপনের ব্যারোমিটার : সভ্য সমাজ আর অসভ্য সমাজের পার্থক্য বুঝার উপায় ! সভ্য সমাজে অপরাধী শাস্তি পায় আর অসভ্য সমাজে অপরাধী পুরুস্কৃত হয় .

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« March 2025 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
          1 2
3 4 5 6 7 8 9
10 11 12 13 14 15 16
17 18 19 20 21 22 23
24 25 26 27 28 29 30
31