Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Tuesday, 07 May 2024

নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে দ্বি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজারস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শাহ্ আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুরাদ আহমদ। উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আবু ইউসুফের পরিচালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক এম.এ কাইয়ুম, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সহ সভাপতি ইউসুফ আহমদ চৌধুরী ও ডাঃ আব্দুল অদুদ, জাতীয় কৃষক পার্টির সহ-সভাপতি সৈয়দ আকমল হোসেন, বাউসা ইউপি জাতীয় পার্টির সভাপতি শহিদ চৌধুরী, ইনাতগঞ্জ ইউপি জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী শহিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনর মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মসুদ মিয়া, কালিয়ারভাংগা ইউপি জাতীয় পার্টির সভাপতি ফতেহ আলম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান চৌধুরী, কুর্শী ইউপি জাতীয় পার্টির সভাপতি (অবঃ সেনা কর্মকর্তা) মাহমুদ হোসেন, দীঘলবাক জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম তাজুল ইসলাম লিলু, নবীগঞ্জ সদর ইউপি জাতীয় পার্টির সভাপতি মর্তুজা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী এনাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোগল মিয়া, করগাঁও ইউপি জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোতাব্বির হোসেন চৌধুরী, বড়ভাকৈর পশ্চিম ইউপির সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, পানিউমদা ইউপি জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, আউশকান্দি ইউপি জাতীয় পার্টির সভাপতি ফকির ফজলু মিয়া, জাতীয় পার্টি নেতা মাজুল আহমদ মাসুম,সজল দাশ, উপজেলা সেচ্ছা সেবক পার্টির সদস্য সচিব মুশাহিদ আলম চৌধুরী, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতি নেতা নাছির চৌধুরী,প্রসাদ রায়, জাতীয় ছাত্র সমাজ নেতা তানভীর আহম্মেদ চৌধুরী প্রমূখ। সভায় বক্তাগণ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে আরো সুসংগঠিত করার আহবান জানান এবং সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১, নবীগঞ্জ বাহুবল আসনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ আবুল খায়েরকে জাতীয় পার্টির এমপি প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়ন দেয়ার দাবী জানান।সভার শুরুতেই কোরান তেলাওয়াত করেন হাফিজ সাইফুর রহমান। অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলন সর্বসম্মতিক্রমে শাহ আবুল খায়েরকে নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, ইউসুফ আহমদ চৌধুরী, ডাঃ আব্দুল অদুদ, শহিদ চৌধুরী, জামাল চৌধুরী, মাহমুদ হোসেন, হাজী শহিদ মিয়া, ফকির ফজলু মিয়া, ফতেহ আলম, মাজুল আহমদ মাসুমকে সহ-সভাপতি, আবু ইউসুফকে সাধারণ সম্পাদক, জিয়াউর রহমান চৌধুরী, হেলাল আহমদ, এস এম তাজুল ইসলাম লিলুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দ আকমল হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নাছির চৌধুরীকে যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুরাদ আহমদ।

বানিয়াচং উপজেলার কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের  সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক  তাজুল ইসলাম ও বর্তমান প্রধান প্রধান শিক্ষক ফখরুদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম,সাম্প্রদায়িক ধ্বংস,  চুরের পক্ষ পাতিত্ব  এবং আসাধাচরণের প্রতিবাদে অভিভাবকদের আয়োজনে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে বানিয়াচং কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন টি অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান মঞ্জু কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও অভিবাবক প্রতিনিধি আকমাল হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য রমজান আলী,ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর চৌধুরী, হারুন মিয়া,সোহাগ চৌধুরী, বিশ্বজিৎ দাস,মহানন্দ বৈষ্ণব,দুলন, অজিত বৈষ্ণব,রিপন মিয়া,কল্পনা বর্মন,সুকৃতি বর্মণ,গোপাল বৈষ্ণব,শংকর বর্মণ,মোঃ নাসির মিয়া,সিরাজুল ইসলাম,আঃ রহমান,আঃ আলী,মনির মিয়া,বন্দ্র কুমার বৈষ্ণব,হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ আব্দুল সহিদ,ফয়জুর রহমান,অজিত বর্মন,মোঃ নুরুল হক,মোঃ জামাল হোসেনসহ অভিভাবক বৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখরুদ্দীন আহমদের ছুটিতে থাকাকালীন সময় বিদ্যালয়ের ১১ ট ল্যাপটপ,৩ টি সোলার ব্যাটারি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায়  বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী রানা আখন্দকে গ্রেফতার করে বানিয়াচং থানা পুলিশ। ছুটি কাটিয়ে বিদ্যালয়ে যোগদান করে নৈশ প্রহরী রানা আখন্দকে জামিন পত্রে সাক্ষার করে নিজ জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখরুদ্দীন। এ ঘটনা এলাকায় জড়িয়ে পড়লে এলাকার স্থানীয় অভিবাবক ও লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রক্রিয়া দেখা দেয়। পরে অভিবাবক কমিটি ও ম্যানেজিং কমিটি একটি সভা  আহবান করেন ওই সভায়  প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোন সুন্দর উত্তর না  দিয়ে  অভিবাবক সদস্যদের সাথে অসৎ আচরন করেন।  এরই প্রতিবাদে গ্রামবাসী ও এলাকার জনপ্রতিনিধি মিলে ওই মানববন্ধনেরআয়োজন করেন। মানববন্ধনে বক্তরা  বক্তরা  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবিসহ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

সরকারের নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকারভোগীদের নিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো এক ব্যতিক্রমীধর্মী বিশাল উন্নয়ন সমাবেশ। এতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। নবীগঞ্জ উপজেলার ২৬ হাজার উপকারভোগীদের মধ্যে ১৫ হাজার নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে ওই উন্নয়ন সমাবেশে। নারী-পুরুষদের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে সমাবেশ স্থল। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবীগঞ্জ জে.কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার জনপ্রতিনিধি বৃন্দের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পর আগত উপকারভোগী প্রত্যেককে একটি করে গাছের চারা ও কয়েক জনকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। এসময় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আব্দুর রব ৫০ হাজার টাকার চেক পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশের সভাপতিত্বে ও করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ এমপি । এসময় তিনি বলেন- আগামী নির্বাচন বানচালে বিএনপি জামায়াত নানা ষড়যন্ত্র করছে, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে উপকারভোগীদের নিয়ে বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। সমাবেশে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ও ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত সুবিধাভোগীরা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন । রোজিনা বেগম ও শিউলি বেগম প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চান। তারা বলেন- আমরা ছিলাম আশ্রয়হীন আমাদেরকে মাথা গুঁজার টাই দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন - জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী বুলবুল, এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, পানিউমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান, কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী, আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিলাওয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু, কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান, বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতার আহমেদ ছুবা, দেবপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শাহ রিয়াজ নাদির সুমন, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি দুলাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাবের আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাব্বি আহমেদ চৌধুরী মাক্কু সহ অনেকই বক্তব্য রাখেন এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী পরবিবারের নেতৃবৃন্দ।

বানিয়াচং থানা পুলিশের অভিযানে চারটি চোরাই মোটরসাইকেল একটি কম্পিউটার ও একটি অটোরিকশা উদ্ধার করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। এ সময় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের হোতা জাহাঙ্গীর (৩৪),কম্পিউটার চোর টিটু দাশ জীবন(২৯) ও অটোরিকশা চোর সাজু(২৫)পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়। বৃহস্পতিবার(১৯ অক্টোবর)রাত সাড়ে ৮টায় বানিয়াচং থানায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে। এ সময় বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন ও ওসি তদন্ত আবু হানিফ এবং থানার কর্মরত অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন। সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান,বুধবার বিকাল ৪টায় হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক রোডের শাহী ঈদগা এলাকা থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয়কালে গ্রেফতার করা হয় জাহাঙ্গীর কে। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর কে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর একজন আন্তজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে একজন মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনার মামলার সূত্রে আসামী টিটু দাশ কে ১৮ অক্টোবর সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং মামার দোকান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর)পাশ্ববর্তী নবীগঞ্জ উপজেলার তিমিরপুর গ্রামের এলাইছ মিয়ার পুত্র সাজু(২৫)কে একটি চোরাই অটোরিকশা সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে বানিয়াচং সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে বলেন,এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযুক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপম দাস অনুপের সভাপতিত্বে ও পজিপ কর্মকর্তা শাকিল আহমদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকার সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. গতি গোবিন্দ্র দাশ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু,  উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাব্বি আহমদ মাক্কু, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, সইফা রহমান কাকলী, ইকবাল আহমদ বেলাল প্রমুখ। এসময় উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কমর্চারী উপস্থিত ছিলেন।

শারদীয় দুর্গাপূজা’ ও ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র অনুষ্ঠানের জন্য তিনটি কোম্পানির কাছে সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে তাকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (১৬ অক্টোবর) ওই আদেশ এসেছে। এতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ নাজমুল হক কামালকে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি রংপুর রেঞ্জে সংযুক্তের আদেশ দিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামসুল হক আরও জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা ও কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠানের জন্য তিন কোম্পানির কাছে সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে। এরপরই হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করেন। গত ১৪ অক্টোবর এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

নবীগঞ্জে বাংলাদেশ আনজুমানে আল- ইসলাহ তালামীযে ইসলামিয়া নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মোবারক র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সালামতপুর হাজারী কমিটির সেন্টার থেকে মোবারক র্যালীটি নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মোড় পদক্ষিন করে হাজারী কমিটির সেন্টার এসে মোবারক র্যালীটি শেষ হয়। র‌্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান ও ফয়েজ আহমেদ নোমানের সভাপতিত্বে ও কাজী মাওলানা গোলজার আহমেদ ও শেখ এম মোজাহিদ এর সঞ্চালয়ের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আল্লামা ফখরুউদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মুকিত মুকিত চৌধুরী, মজিবুর রহমান সেফু,মাওলানা শাহ ছাদিকুর রহমান ছাহেব জাদায়ে বিলপাড়ী,বাংলাদেশ আনজুমানে আল - ইসলাহ, হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া মোঃ জাহেদুর রহমান। এতে আরও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য বাংলাদেশ আনজুমানে আল- ইসলাহর কাজী মাওলানা এম এ হাসান আলী, সাবেক সদস্য বাংলাদেশ আনজুমানে আল- ইসলাহ মাওলানা এম এ নুর, সহ - সভাপতি হবিগঞ্জ জেলা আল- ইসলাহ মুফতি এম এ মজিদ পিরিজপুরী,এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, কাজী মাওলানা নজমুল ইসলাম, কাজী মাওলানা মাহবুব রহমান, হাফিজ মোঃ মুজিবুর রহমান, মাওলানা মোঃ ফখরুল ইসলাম, লিয়াকত আলী তালুকদার, মোঃ ছাদেকুর রহমান, মো: আমিমুল এহসান তাহছিন, মো: সাইদুর রহমান, মো: আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল বাছিদ,প্রমুখ, ও বিভিন্ন সংগঠনের জনসাধারণ উপস্থিতি ছিলেন।

সিলেট রেঞ্জ কর্তৃক চলমান বিশেষ অভিযানের অংশ হিসাবে নবীগঞ্জ থানার পুলিশের অভিযানে পিকআপ গাড়ী,গরুসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলীর নির্দেশনায় নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ শুক্রবারে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জিআর-১৬১/২২ এবং সিআর-২১৮/২৩ মামলার ওয়ারেন্ট ভূত্ত পলাতক আসামী রানীগাঁও গ্রামের এনাম উদ্দিন এর পুত্র আব্দুল আজিজ, ফুটারমাটি গ্রামের মাজিদ আলীর পুত্র ইয়ার হোসেন গ্রেফতার করেন। তাছাড়া অভিযান পরিচালনা করে চোরাইকাজে ব্যবহৃত নাম্বার বিহীন একটি পিকআপ গাড়ী এবং ২টি চোরাই গরুসহ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক এলাকার সেলিম মিয়ার পুত্র ইসমাঈল (২৫)কে গ্রেফতার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার মামলা নং-০৭, তারিখ -১৪/১০/২৩খ্রিঃ, ধারা-৪৫৭/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড মামলা রুজু করা হয়।শনিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলী।

উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে সালমা বেগম (১৭) নামের এক কিশোরী গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে ওই গ্রামের হেলাল মিয়ার কন্যা। গতকাল শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সালমা বেগম গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পরিবারের সকলের সাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে থাকে। শুক্রবার ভোর বেলা পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে সালমা বেগমকে ঘরের বারান্দায় পড়নের ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে এসআই মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। নিহত সালমা বেগম চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়। ধারনা করা হচ্ছে আত্মহত্যার কারনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেনি।  আবার অনেকেই মনে করচ্ছেন তার পিতা তাকে  ফজরের নামায না পড়ায় গালি গালাজ  করেছিলেন এজন্য হতে পারে তাছাড়া সঠিক করে তার আত্মহত্যার কোন কারন জানা যায়নি।

যানজট বর্তমানে নবীগঞ্জ বাসীর জীবনে এক ভয়াবহ সমস্যা কারন হয়ে দেখা দাড়িয়েছে। যানজটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে বা গন্ত্যবে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যানজট নবীগঞ্জের নাগরিক জীবনের নিত্যদিনের এক অসহনীয় ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যতই ক্ষোভ ও বিরক্তির কারণ হোক, এর হাত থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না। নবীগঞ্জ শহরের  তীব্র যানজটের  পাশাপশি রয়েছে  শহরের প্রধান রাস্তা গুলোর বেহাল দশা, এসব যেন দেখার কেউ নেই। যান চলাচলের রাস্তার স্বল্পতা, অপরিসর রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফুটপাত এর দোকান বসিয়ে রাস্তা দখল করে, এবং সিএনজি, মিশুক ও বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা ও নামানো, অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থা, হকারদের ফুটপাত দখল ইত্যাদি ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন, এই সব দেখার যেন কেউ নেই?  এ নিয়ে সর্ব মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে, যানযট নিরসনের নেই কোনো ভূমিকা নেই ট্রাফিক পুলিশের। এতে প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, এতেই বাড়ছে  জনগনের ভোগান্তি। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যানযট নিরসনের দায়িত্ব কার.? এ সব দেখার কি কেউ নেই.? ট্রাফিক পুলিশ কোথায়.?এ সব কেন প্রশাসনের  নজরে আসছেনা। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্জেন্টের  রহস্যজনক নিরব ভূমিকা নিয়েও সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায় নেই ট্রাফিক পুলিশের কোন তৎপরতা। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা, চাকুরীজীবি, কর্মজীবিও পেশাজীবি সহ নাগরিকদের চরম ভোগান্তিও সৃষ্টি হচ্ছে এই যানজটের কারনে। উপজেলা প্রশাসন যানজট নিরসনে উদ্যোগী ভূমিকা নেয়ার জন্য একাধিকবার আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে পৌরসভাকে তাগিদ দেয়ার পরেও পৌর কর্তৃপক্ষের নীরবতায় হতাশা দেখা দিয়েছে। এক পথচারী এই প্রতিবেদকে বলেন, নবীগঞ্জ শহর এখন রাজধানীর মতো হয়ে গিয়েছে। তীব্র যানজটে করণ হচ্ছে হকাররা ফুটপাত দখল করে, এই ফুটপাতের দোকান গুলোর জন্য গাড়ি নিয়ে যাওয়াতো দূরের কথা পায়ে হেটে যাওয়া ও কষ্টকর। যানজটে আটকা পড়া এক এম্বুলেন্স চালক বলেন, রোগী নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা জামে আটকা পড়ে আছি। গাড়ির ভিতরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক রোগী। যানজট নিরশনে এখন পর্যন্ত কোন ট্রাফিক পুলিশ দেখতে পাইনি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ অটোরিক্সা, মিশুক টমটম, ভ্যান,ইজিবাইক, শ্রমিক সমন্বয়ে গঠিত যাহার  নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি রুস্তম আলী বলেন, নবীগঞ্জবাসীকে যানযট নিরসনের জন্য আমাদের সংঘটনের পক্ষ থেকে ৫ জন কমিউনিটি ট্রাফিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি সহযোগিতা করেন। তাহলে আশা করি অচিরেই নবীগঞ্জ শহরকে যানযট মুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।  সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, নবীগঞ্জে যানজট সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে। ফুটপাত এর দোকান বসিয়ে রাস্তা দখল করা ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে যানযট নিরসনের জন্য কমিউনিটি ট্রাফিক এর ব্যবস্থা করেছি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ছিলাম। এবং রাস্তা দখল মুক্ত করার জন্য আজ থেকে তিন বছর পূর্বে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ফুটপাত এবং রাস্তা দখল মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু ইদানিং ও রাস্তা দখল যেই সেই আগের মত হয়ে গেছে যার ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, যানযট নিরসনে বেশ কয়েক বার উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সহ সকলের সহযোগীতায় ১ মাস ব্যাপি অভিযান চালিয়ে যানযট জিরো টলারেন্সে নিয়ে এসেছিলাম। তিনি আরো বলেন, একমাত্র আমার সময়ে এ রকম উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে ছিলাম। আমি মনে করি শহরের ড্রেনের কাজ শেষ হয়ে গেলে, এভাবে আর যানযট সৃষ্টি হবে না। আমি নবীগঞ্জ বাসীকে বলতে চাই, এই নবীগঞ্জ আমাদের আমরা সবাই এগিয়ে এসে এর সমধার করা দরকার।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« May 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30 31