হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ক্রাইমজুন হিসাবে পরিচিত ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের ফাদুল্লা- দৌলতপুর গ্রামে ডাকতির প্রস্তুতিকালে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।শনিবার (৩১মার্চ) রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো, দীঘলবাক ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের পুত্র শামিম মিয়া (৩৩), ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের তৈয়ব উল্লার পুত্র আরজান মিয়া (৩৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুক আলী দিকনির্দেশনায় ও এসআই মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশের বিশেষ অভিযানে চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুক আলী গ্রেফতারকৃত গরু চোরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ-১, নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, টিএইচও ডাঃ আব্দুস সামাদ আজাদ, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাসুক আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর উদ্দিন বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জালাল সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনি, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিউডি) মোঃ জুনায়েদ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী, শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, মোঃ ছালিক মিয়া, এডভোকেট আক্তার মিয়া (ছুবা), নির্মলেন্দু দাশ রানা, মোঃ নোমান হোসেন, মৎস্য কর্মকর্তা আসাদ উল্লাহ, পজীপ কর্মকর্তা শাকিল আহমদ, হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্ট্রান পরিষদের সভাপতি নারায়ন রায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বাবুল দেব, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি এম.এ মুহিত, সাধারণ সম্পাদক সেলিম তালুকদার, জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকারিয়া, একটি বাড়ি একটি খামারের ব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফেরদৌসী, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ছামাদুল হক চৌধুরী, সমাজ সেবা কর্মকর্তা বিদ্যূৎ দাশ, সমবায় কর্তকর্তা জীতেন্দ্র সরকার, পল্লী বিদ্যুতের এজি.এম, জোয়েলউর রহমান, আনসার বিডিপি কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন, উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার মোশাহিদ আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার মোঃ সোলাইমান খান আরো অনেকেই। সভায় প্রধান অতিথি হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কলেজ তাহসিন হত্যা মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করায় পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এবং শহরে অবস্থিত মদের পাট্টা স্থানান্তর করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান তিনি। এবং কিশোর গ্যাং এর বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকার আহবানও জানান। এছাড়া নবীগঞ্জকে ক্রাইম জুন হিসাবে দেখতে চান না বলেও উল্লেখ করেন। তিনি শাখা বরাক নদীর উপরে বজ্র ফেলার বিষয়ে বিশেষ করে ভিআইপি এলাকা চরগাঁও এ নাক ডেকে যেতে হয়! তা কিভাবে বন্ধ করা যায় মেয়র সাহেব সহ সকলের প্রতি দৃষ্টি কামনা করেন। এছাড়া সভায় বক্তাগণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে বলে জানান। বিশেষ করে গরু চুরি রোধ করতে অফিসার ইনচার্জকে আরো সর্তক হয়ে কিভাবে গরু চুরি রোধ করা যায় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ারও আহবান জানান তিনি। অপরদিকে, ঝানজট বিষয়ে ঈদের পর পাশ্ববর্তী সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বাস, সিএনজি, অটোরিক্সা (টমটম) সহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বসে এগুলির সমাধান কিভাবে হয় সে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার জন্য বলা হয়েছে। পরে উপজেলা সমন্বয় সভায় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট জনদের নামে নাম করণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, দেওয়ান ফরিদ গাজী, সাবেক অর্থ মন্ত্রী শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রব সাদী, সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ চৌধুরী, মেজর (অবঃপ্রাপ্ত) সুরঞ্জন দাশ, অনুদ্বৈপায়ন ভট্রাচায্য, শ্যামা প্রসান্ন ভট্রাচায্য (বিধু বাবু), আব্দুল হক চৌধুরী, সুকুমার রঞ্জন দাশসহ জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাস্তা নাম করণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নবীগঞ্জে বাবলু মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী সহ ২ জন গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গভীর রাতে সিলেট জেলার কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নির্দেশনায় একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। আসামীরা হলো আম্বর মিয়ার পুত্র মোঃ আকবর মিয়া (৩৫), মোঃ আকবর মিয়ার স্ত্রী সাবিনা বেগম (৩০) উভয় সাং-হরিনগর, পূর্ব বড় ভাকৈর ইউপি। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী। উল্লেখ্য যে, গত-০৫/০৩/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুরে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়া ভিকটিম মৃত বাবলু মিয়া ও ২নং বিবাদী সাবিনা বেগম এর মধ্যে কথা কাটাকাটি কে কেন্দ্র করে ১নং বিবাদী মোঃ আকবর মিয়া ভিকটিম বাবলু মিযাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার পিছনে বাঁশের মুগুর দিয়ে একাধিক আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং ২নং বিবাদী সাবিনা বেগম হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বারি দিয়ে জখম করলে বাবলু মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে গণধোলাইয়ে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। এছাড়াও জনতা ধাওয়া দিয়ে আরেক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় ২৬ মার্চ(মঙ্গলবার) দিবাগত মধ্য রাতে উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের গোয়াকারা গ্রামে। গনধোলাইয়ে নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়া(৪৫) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়। এই ঘটনার বিষয়টি লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো:আবুল খায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রাত অনুমান ১২ টার পরে উল্লেখিত স্থানে কয়েকজন ডাকাত মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিল। এই ঘটনাটি জানতে পেরে গ্রামবাসী দলবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দিলে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় জনতার ধাওয়া খেয়ে অন্যান্য ডাকাতরা দিক-বেদিকে পালানোর সময় আব্বাস নামের আরেক ডাকাত আটক হয় জনতার হাতে। পরে ডাকাত আব্বাসকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন তারা। এছাড়াও ওসি আরো জানান,গুরুতর আহত অবস্থায় হিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা ছিলো বলে জানান।
বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি করার সময় দেশীয় অস্ত্র সহকারে ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। ২৬মার্চ (মঙ্গলবার) গভীর রাতে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের ৮নং শরিফখানী মহল্লার বুরুজ পাড়া এলাকার সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করার প্রস্তুতিকালীন সময়ে বানিয়াচং থানার এসআই সন্তুশ,এসআই স্বপন সরকারসহ টহলরত একদল পুলিশ এই মুখোশ ধারী ৩ ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্র সহকারে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম ভাগ গ্রামের আছকির মিয়ার পুত্র মোঃইমরান মিয়া(২০)বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্ন পাড়া(মাইজের মহল্লার)মন্জুর আলীর পুত্র মোঃ ফারুক মিয়া(৪৮)ও বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের পাঠানটুলা মহল্লার আরজু মিয়ার পুত্র মোঃনাজিনুর মিয়া(২২)। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গতকাল ২৫মার্চ দিবাগত গভীর রাত(২৬ মার্চ মঙ্গলবার) আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে থানা পুলিশের একটি টহলদল উপরে উল্লেখিত এলাকায় টহলরত অবস্থায় সড়কের মধ্যে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো একদল মুখোশধারী ডাকাত।
এসময় পুলিশ তাদেরকে পাকড়াও করে দেশীয় অস্ত্র সহকারে ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা দিয়ে হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয় এব্যাপারে জানতে চাইলে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,পুলিশ জনগনকে সেবা দিতে সর্বদা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এরই অংশ বিশেষ হিসাবে জনগণের জানমালের সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে এই পবিত্র রমজান মাসে গভীর রাতে ডাকাতদলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সকল ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের গ্রেফতার অভিযানের পাশাপাশি পুলিশ দিন-রাত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।