Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Sunday, 05 May 2024

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সহপাঠিদের ছুরিকাঘাতে রাইসুল হক তাহসিন (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ৫ জনের নাম সনাক্ত সহ ঘটনার কারন উদঘাটন করেছে। বন্ধুদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের চৌদ্দহাজারী মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন (১৯) নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও বানিয়াচং উপজেলার কালাইনজুড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং নবীগঞ্জ শহরের শেরপুর রোডের রাজন ওয়ার্কশপের সত্ত্বাধিকারী রাজন মিয়ার পুত্র।পুলিশ সূত্রে জানায়, রাতে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের চৌদ্দহাজারী মার্কেটের সামনে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিনের উপর হামলা চালায় তারই সহপাঠি মান্না, জুয়েল, শাফি, সহ ৩/৪ জন। এক পর্যায়ে তাহসিনকে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাহসিনকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার বেগিতক দেখে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে তাহসিন মারা যায়। এ মৃত্যুর ঘটনার খবর চতুর দিকে ছড়িয়ে পড়লে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসুক আলী নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৫ থেকে জনের নাম সনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ শহর জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। এমন কি এ ন্যাক্কার জনক ঘটনায় দেশ- বিদেশে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। তবে, এখন পর্যন্ত কোন ঘাতককে পুলিশ ধরতে পারেনি।

নবীগঞ্জ সংবাদ। নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্র সৈয়দ তাহসিন হত্যাকান্ডের ঘটনা’কে কেন্দ্র করে দু’ গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক লোজ আহত হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দোকান পাট ভাংচুর, মটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরে বাহুবল সার্কেল এসপি আবুল খয়ের, ইউএনও এর নেতৃত্বে দাঙ্গা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কটোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সংঘর্ষ চলাকালে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।বিভিন্ন প্রাপ্ত সুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার রাতে কুর্শি ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদের মালিকাধীন রাজা কমপ্লেক্সের পিছনে ফুড কর্নারে দু’দল কলেজ ছাত্রদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাটি আনমনু গ্রামের কয়েকজন যুবক সমাধা করে দেন। এই খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ তার মাকের্টের ভিতরে কেন ঘটনা ঘটলো এনিয়ে আনমনু গ্রামের লোকজনদের উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করেন এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কথা বার্তা বলেন। এর প্রতিবাদ করেন আনমনু গ্রামের কতিপয় যুবক। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এদিকে চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ তার মালিকানা গোল্ড ব্রিকফিল্ট থেকে একাধিক ট্রাক দিয়ে ইট, কাচের বোতলসহ প্রচুর লোকজন নিয়ে আসেন। তারা রাজা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় অবস্থান করে বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। জবাবে আনমনু গ্রামের লোকজনও নীচ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।এ সময় চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমানের নিজ গ্রাম এনাতাবাদের লোকজন কাউন্সিলর নানু মিয়ার মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগসহ ৩টি সাইকেল ভাংচুর করে। কাউন্সিলর নানু মিয়ার দোকানসহ একাধিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পাল্টা হামলায় রাজা কমপ্লেক্সের গøাস ভাংচুর করা হয়। প্রকাশ্যে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গ্রাম থেকে লোকজন এনে শহওে রণক্ষেত্রের ঘটনায় শহর জুড়ে আতংক সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাদাঁনো গ্যাস নিক্ষেপ করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। এক পর্যায়ে বাহুবলের সার্কেল এসপির নেতৃত্বে হবিগঞ্জ থেরেক একদল দাঙ্গা পুলিশ আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানসহ এনাতাবাদের লোকজনদেও পুলিশ প্রহরায় শহর থেকে বিদায় করে দেয়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ- বাহুবল আসনের এমপি এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী পরিস্থিতি শান্ত করতে ফোনে বক্তব্য রেখে পরিস্থিতি স¦াভাবিক করার চেষ্টা করেন।  এসময় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অনুমপ দাশ,সহকারী কমিশনার ভূমি সাহিন দেলোয়ার,ওসি মাসুক আলী,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইউপি চেয়াম্যান এমদাদুর রহমান মুকুল, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফু, জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সফিকুজ্জামান শিপন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, ইউপি চেয়ারম্যান, নির্মেলেন্দু দাশ রানা, নোমান আহমদ সাবেক জেলা পরিষদে সদস্যর আঃ মালিক সাবেক প্যানেল মেয়র এটিএম সালামসহ সাংবাদিক জনপ্রতিনধি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সংঘর্ষেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে অপ্রাণ প্র্রচেষ্টা করেছেন। 

নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বার্ষিক ইসলামী সুন্নী মহা-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মাওলানা নেছার আহমদের সভাপতিত্বে ও অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ ক্বারী মিজান আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন হযরত মাওলানা হাফিজ ফখরুদ্দিন চৌধুরী। এতে অন্যান্যদের মধ্যে ধর্মীয় ইসলামিক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা পেশ করেন হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুল মজিদ পিরোজপুরি, হযরত মাওলানা আরিফুলহক আল হানাফী, হযরত মাওলানা জাকির হোসাইন, হাফিজ রুহুল মল্লিকপুরী, মাওলানা আবুল হাসান, মাওলানা ক্বারী মনির উদ্দিন, মাওলানা ইকবাল হুসাইন, মাওলানা সালেহ আহমদ, শেখ আবু আব্দুল্লাহ তাসনীম, মাওলানা নুরুল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠিত বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রথম বারের মত দুজন ছাত্রকে হাফিজ হিসেবে পাগড়ি পরিয়ে দেন প্রধান অতিথি মাওলানা হাফিজ ফখরুদ্দিন চৌধুরী। হাফিজ হিসেবে যারা স্বীকৃতি পান তারা হলেন অত্র মাদ্রাসার ছাত্র বহরমপুর গ্রামের ছায়েদ মিয়ার পুত্র আরিফ হুসাইন ও কামারগাঁও গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র আশিকুর রহমান।
উল্লেখ্য উক্ত গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আব্দুল নাসির ও তাঁর পরিবার বর্গের সার্বিক সহযোগিতায় বহরমপুর আব্দুল লতিফ হাফিজিয়া মাদ্রাসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে প্রায় বছর যাবত। উক্ত হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুবাধে এলাকায় হাফিজ হওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে শতাধিক ছাত্রের পদচারণায় মাদ্রাসা মুখরিত।

 

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানাধীন শান্তিভাগ এলাকা থেকে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩নং পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর দিক-নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) দিলীপ কান্ত নাথ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩নং পলাতক আসামী বড় ভাকৈর গ্রামের মাসুক মিয়ার পুত্র সজলু মিয়া (২০) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী।

নবীগঞ্জে  এলাকার পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিত হামলা  করে এক কাপড় ব্যবসায়ীর নগদ ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে একদল দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার সন্ধ্যায় বাউশা ইউনিয়নের বাশডর (দেবপাড়া) এলাকার বিজনা নদীর চড়ে এই হামলা ও ছিনতাইর ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখিত ঘটনায় বাশঁডর গ্রামের মৃত জাহিদ উল্লার পুত্র আব্দুল বাছিত ৪ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরনসূত্রে জানাযায়, আব্দুল বাছিত ও আব্দুল মুকিত এর মাঝে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আব্দুল বাছিত বাঁশডর (দেবপাড়া) বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী। কাপড়ের ব্যবসার সুবাদে প্রায় সময় তিনি ঢাকা থেকে কাপড় কিনে এনে এলাকার বাজারে বিক্রি করেন। গত-১৯ ফেব্রুয়ারি কাপড় ক্রয় করার জন্য আউশকান্দি এনা কাউন্টার থেকে সিএনজি চালক সুফল মিয়ার মাধ্যমে একটি টিকেট ক্রয় করেন। সিএনজি চালককে সাথে নিয়া আউশকান্দি কাউন্টারের যাওয়ার পথ্যিমধ্যে বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর (দেবপাড়া) সাকিনস্থ জনৈক মাসুক মিয়ার বাড়ীর নিকট বিজনা নদীর চড়ে উল্লেখিত বিবাদী বাঁশডর (দেবপাড়া) গ্রামের আব্দুল মুকিদ,নুরুল হক,হোসাইন মিয়া,রাজা মিয়াগংরা গাড়ীর পথরোধ করে। গাড়ী থামানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে বিবাদীগণ আব্দুল বাছিতকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।  আব্দুল বাছত প্রতিবাদ করতেই তার উপর হামলা  চালিয়ে তার কাছে থাকা  কাপড় ক্রয় করার নগদ ৫ লক্ষ টাকা চিনিয়ে নিয়ে যায়। আব্দুল বাছিতের আত্ন চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীগন তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সিএনজি চালক সুফল মিয়া তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। ঘটনায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন,অভিযোগ পেয়ছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« May 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30 31