ভারপ্রাপ্তর সম্পাদক :
www.nabiganjerdak.com
www.tribute71.com
পরিবার ছেড়ে বিদেশে যাওয়া দেশের অধিকাংশ অভিবাসী নারী গৃহকর্মী হচ্ছেন নির্যাতনের শিকার। দেশে ফেরার পর তাদের মুখে নির্যাতনের ভয়ংকর বর্ণনা শুনে আতঙ্ক জাগে মনে। নির্যাতিত যেসব নারী পালিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের শরীরেও নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট। দেশে ফিরে তারা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুললেও অধিকাংশই সামাজিক কারণে মুখ বন্ধ রাখেন।
সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে নিয়োগ কর্তার নির্যাতনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন নবীগঞ্জ উপজেলার রাবিয়া খাতুন (৩৮)। অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ রাবিয়া দেশে ফেরার পর পরিবারকে খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের কাছে রাবিয়া খাতুনকে হস্তান্তর করেছে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার।
গত শনিবার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে সৌদি ফেরত রাবিয়া খাতুন (৩৮)-কে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরে তার পরিবার। রাবিয়া খাতুন নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামের নবির হোসেনের মেয়ে ও কাজল উল্লাহর স্ত্রী। রাবিয়া খাতুনের পরিবার ও ব্র্যাক সূত্রে জানা যায়- পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ২০২২ সালে রিক্রুটিং এজেন্সি দ্য ইফতি ওভারসিজ (আরএল-৮৯৪) মাধ্যমে সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকার ভিসায় পাড়ি জমান রাবিয়া খাতুন। সেখানে যাওয়ার পর রাবিয়া খাতুনের জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ নির্যাতন। প্রতিনিয়ত নিয়োগকর্তার নির্যাতনে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাবিয়া। বন্ধ হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ। গত বুধবার (০৩ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরব থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরেন রাবিয়া খাতুন। রাতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলেন রাবিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে রাবিয়াকে ক্যানপিতে ল্যহীন চলাফেরা করতে দেখে এপিবিএন সদস্যরা তাদের অফিসে নিয়ে যান। তবে তার কাছে কারও মোবাইল নম্বর বা কোনো তথ্য না থাকায় পরিবার খুঁজে নিরাপদে হস্তান্তরের জন্য এপিবিএন সদস্যরা তাকে ঢাকার আশকোনার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে পাঠান। রাবিয়ার পরিবারের সন্ধান পেতে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ আল আমিন নয়ন গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা চান। পরে হবিগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী-জনপ্রতিনিধিদের ও সচেতন কিছু যুবকের প্রচেষ্ঠার ফলে রাবিয়া খাতুনের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ আল আমিন নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ হয় রাবিয়া খাতুনের পরিবারের। মায়ের সন্ধান পেয়ে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতেই রাবিয়া খাতুনের মেয়ে তাছলিমা আক্তার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কর্মকর্তারা রাবিয়া খাতুনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। শনিবার বিকেলে সৌদি ফেরত রাবিয়া খাতুন (৩৮)-কে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরে তার পরিবার। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের রয়েছে আলাদা অভিবাসন কর্মসূচি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারীশ্রমিকের লাশ এসেছে দেশে। যার মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে সৌদি আরব, জর্দান, লেবানন ও ওমানে। এই সময়ে মারা গিয়েছেন সৌদি আরবে ২০২ জন, জর্দানে ৯৬ জন, লেবাননে ৭৮ জন ও ওমানে ৫৮ জন। সালের হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মৃত্যু ঘটেছিল ২০২৯ সালে, ১৩৯ জন। এ ছাড়াও ২০১৬ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৯৪, ২০১৮ সালে ১১০, ২০১৯ সালে ১৩৯, ২০২০ সালে ৮০, ২০২১ সালে ১২২ এবং ২০২২ সালে ১১৭ জন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ ছিল স্বাভাবিক মৃত্যু। এ ছাড়াও মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণজনিত ১৯ শতাংশ, আত্মহত্যা ১৬, দুর্ঘটনা ১৫ এবং অন্যান্য কারণে ১৩ শতাংশ নারীশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বছরে গড়ে তিন থেকে চার হাজার নারী ফিরতে বাধ্য হন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২ লাখ নারী শ্রমিক বিদেশে গেছেন। অতিরিক্ত কাজের চাপ, শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরে আসেন তাদের অনেকেই। বিদেশে নির্যাতনের কারনে মারা যান অনেক নারী কর্মী। মৃত নারী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যসহ অভিবাসন-বিশেষজ্ঞরা মৃত্যুর এই কারণ বা অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাবিয়া খাতুনের স্বামী কাজল উল্লাহ বলেন- আমার স্ত্রী সৌদি আরব যাওয়ার পর মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হয়েছিল, যাওয়ার পর থেকে তার উপর নানাভাবে নির্যাতন করে নিয়োগকর্তা। বিগত ১ মাস ধরে আমার স্ত্রী রাবিয়াকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিলনা, আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেলাম আমার স্ত্রী দেশে এসেছে, ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে আছে। পরে আমার মেয়ে ঢাকায় গিয়ে আমার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। তিনি জানান- রাবিয়া প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কাজল উল্লাহ তাঁর স্ত্রীর উপর ঘটে যাওয়া অমানুষিক নির্যাতনের বিচার দাবী করে নারীদের প্রবাসে পাড়ি জমাতে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানান। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মো. আল আমিন নয়ন বলেন, ‘রাবিয়া আমাদের বলেছেন, তিনি সৌদিতে নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে একা বাড়ি পাঠাতে পারিনি। গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তায় তার পরিবারের সন্ধান পাই। পরে শনিবার রাবিয়ার পরিবারের কাছে রাবিয়াকে হস্তান্তর করি।
নবীগঞ্জে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে শহরবাসীর নাভিশ^াস উঠেছে। গরম পড়তে না পড়তেই এখন প্রতিদিন রুটিন করে বিদ্যুত নেয়া হচ্ছে। কিসের ইফতার কিসের তারাহি ও সাহরি, সকল সময়ই হুট করে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। অথচ রমজানের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রমজানে বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন রমজান প্রায় শেষের পথে হলেও শুরু থেকেই এমন পরিস্থিতি দেখা যায় হবিগঞ্জে। সামান্য বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই সাথে সাথে চলে যায় বৃষ্টি। একবার চলে গেলে তা আসার নাম গন্ধ থাকে না। অফিসের জরুরি নম্বরে কিংবা নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিক ফোন করলেও কোনো উত্তর মিলে না। যে কারণে পবিত্র রমজান মাসেও ভোগান্তির শেষ নেই নবীগঞ্জ শহরবাসীর। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছামাফিক বিদ্যুত নেয়ায় বাসা বাড়ির ফ্রিজ, টিভিসহ ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হচ্ছে। গত রবিবার থেকে গত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুতের অবস্থা ভয়াবহ। শহরের মধ্য বাজার, নতুন বাজার, আশপাশের গ্রাম, চরগাও. গন্ধ্যা,রাজনগরসহ সবকটি এলাকায় বিদ্যুত একবার নিলে আসার নাম থাকে না। এতে অফিস আদালতসহ বাসা-বাড়ির কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
নবীগঞ্জে আর্তমানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এম এ গফুর চৌধুরী কল্যাণ ট্রাষ্টের সৌজন্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। প্রতি বছরের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার ২২ রমজান উপজেলার কুর্শী ইউনিয়নের সরকার বাড়িতে প্রায় তিনশতাধীক লোককে ইফতার করানো হয়েছে। এ সময় সরকার বাড়ির সকল মুর্দেগানের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন, হাফেজ মৌলানা মাসুক মিয়া। এম এ গফুর চৌধুরী কল্যান ট্রাষ্টের বর্তমান সভাপতি লুৎফুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফু, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, আবুল কালাম মিঠু, ১০নং দেবপাড় ইউপির ইউপি সদস্য বশির আহমদ, এ.টি.এম ইউনুস মিয়া চৌধুরী, তোফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, তাহিরপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মো: আব্দুল কাদির, আবুল মিয়া, ছোটন শিকদার, সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ, সাগর মিয়া, গোলেমান খাঁন, মোঃ রাহি চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, ব্যবসায়ী হাসান মাহদুদ চাইম, মামুন চৌধুরী, আকাব উদ্দিন মিয়া, মো: ছালেহ আহমেদ, শ্রমিক নেতা দিলখাছ, আব্দুল হালিম, কালাম মিয়া, রুজু মিয়া, সাদিক মিয়া, ব্যবসায়ী শাহ আশরাফ আলী, আবুল কালাম, নেফু মিয়া, বদরুল মিয়া, ডাক্তার রুহেল আহমদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জুনাঈদ আহমদ, হুমাউন আহমদ প্রমূখ।
নবীগঞ্জ উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ-১, নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, টিএইচও ডাঃ আব্দুস সামাদ আজাদ, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাসুক আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর উদ্দিন বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জালাল সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনি, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিউডি) মোঃ জুনায়েদ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী, শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, মোঃ ছালিক মিয়া, এডভোকেট আক্তার মিয়া (ছুবা), নির্মলেন্দু দাশ রানা, মোঃ নোমান হোসেন, মৎস্য কর্মকর্তা আসাদ উল্লাহ, পজীপ কর্মকর্তা শাকিল আহমদ, হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্ট্রান পরিষদের সভাপতি নারায়ন রায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বাবুল দেব, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি এম.এ মুহিত, সাধারণ সম্পাদক সেলিম তালুকদার, জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকারিয়া, একটি বাড়ি একটি খামারের ব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফেরদৌসী, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ছামাদুল হক চৌধুরী, সমাজ সেবা কর্মকর্তা বিদ্যূৎ দাশ, সমবায় কর্তকর্তা জীতেন্দ্র সরকার, পল্লী বিদ্যুতের এজি.এম, জোয়েলউর রহমান, আনসার বিডিপি কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন, উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার মোশাহিদ আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার মোঃ সোলাইমান খান আরো অনেকেই। সভায় প্রধান অতিথি হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কলেজ তাহসিন হত্যা মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করায় পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এবং শহরে অবস্থিত মদের পাট্টা স্থানান্তর করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান তিনি। এবং কিশোর গ্যাং এর বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকার আহবানও জানান। এছাড়া নবীগঞ্জকে ক্রাইম জুন হিসাবে দেখতে চান না বলেও উল্লেখ করেন। তিনি শাখা বরাক নদীর উপরে বজ্র ফেলার বিষয়ে বিশেষ করে ভিআইপি এলাকা চরগাঁও এ নাক ডেকে যেতে হয়! তা কিভাবে বন্ধ করা যায় মেয়র সাহেব সহ সকলের প্রতি দৃষ্টি কামনা করেন। এছাড়া সভায় বক্তাগণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে বলে জানান। বিশেষ করে গরু চুরি রোধ করতে অফিসার ইনচার্জকে আরো সর্তক হয়ে কিভাবে গরু চুরি রোধ করা যায় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ারও আহবান জানান তিনি। অপরদিকে, ঝানজট বিষয়ে ঈদের পর পাশ্ববর্তী সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বাস, সিএনজি, অটোরিক্সা (টমটম) সহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বসে এগুলির সমাধান কিভাবে হয় সে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার জন্য বলা হয়েছে। পরে উপজেলা সমন্বয় সভায় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট জনদের নামে নাম করণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, দেওয়ান ফরিদ গাজী, সাবেক অর্থ মন্ত্রী শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রব সাদী, সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ চৌধুরী, মেজর (অবঃপ্রাপ্ত) সুরঞ্জন দাশ, অনুদ্বৈপায়ন ভট্রাচায্য, শ্যামা প্রসান্ন ভট্রাচায্য (বিধু বাবু), আব্দুল হক চৌধুরী, সুকুমার রঞ্জন দাশসহ জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাস্তা নাম করণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নবীগঞ্জে বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের তরফে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরের সুর্যোদয়ের পূর্বে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় নবীগঞ্জ সরকারি যোগল কিশোর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে কুচকাওয়াজসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপম দাশ অনুপ। পজীপ কর্মকর্ত শাকিল আহমদ এর সঞ্চালনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যবৃন্দ কর্তৃক কুচকাওয়াজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা প্রদর্শন করে। দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। পজিপ কর্মকর্তা জহিরুল হক শাকিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন (বীর প্রতীক), মুক্তিযোদ্ধা জালাল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম,এ আহমদ আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজল, কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ আহমদ রিজভী, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব ডা. নিজামুল হক, গৌতম দাশ,রত্নদ্বীপ দাশ, নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় প্রমুখ। নবীগঞ্জে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের তরফে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম,এ আহমদ আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদারকে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মানণা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। সম্মাণনা ক্রেষ্ট্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়্ া। প্রধান অতিথি জনসভায় সবার সম্মুখে হািবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। তিনি জন সম্মুখে সবার সামনে প্রকল্পের প্রস্তাবিত নাম গুলো ঘোষনা করেন। আলোচনা করে প্রকল্পের এবং কমিটির অনুমোদন প্রদান করেন। হবিগঞ্জ-১ আসনের নবীগঞ্জ ও বাহুবলে বরাদ্ধ এসেছে মোট ২ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার ১৪ টাকা। এর মধ্যে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনা বেক্ষন (টিআর) ৭১ লাখ ৩৩ হাজার ৩শ ৩৩ টাকা, গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার(কাবিটা) ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৯ টাকা, গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার(কাবিখা) চাল ৩০ লাখ ১৮ হাজার ৯শ ১৫ টাকাল। গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার(কাবিখা) গম ২৭ লাখ ৫১ হাজার ৭শ ৪৭ টাকা বরাদ্ধ আসে। এসব বরাদ্ধোর জন্য সুশীল সমাজের সামনে সব প্রকল্পের কমিটির অনুমোদন করেন। পরে প্রকল্প কমিটি গুলো নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম কুমার দাশ অনুপের কাছে প্রদান করেন হািবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
বাহুবল নবীগঞ্জবাসীর উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে টিআর ও কাবিখা’র বরাদ্দ নিয়ে আসছি। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, মন্দির, রাস্তাঘাট, হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাহুবলবাসীর জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে প্রায় কোটি টাকার বরাদ্দ বিতরণ করেছি। এ ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণের প্রাপ্য অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বাহুবল উপজেলা পরিষদ হলরুমে বরাদ্দ বিতরণের সময় বক্তব্যে তুলে ধরেন।অনুষ্ঠান শেষে কেয়া চৌধুরী এমপির নির্দেশে বরাদ্দের তালিকা উপজেলা পরিষদের নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান, বাহুবল উপজেলা এসিল্যান্ড মোঃ রুহুল আমিন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ. উপজেলার ময়মুরুব্বিয়ান সহ ও এলাকার সাধারণ জনগণ।
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। হাজার বছরের সংগ্রামমুখর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীন বাংলাদেশ এবার ৫৪ বছরে পা দিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ মুক্তি পেলেও পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর নতুন করে জেঁকে বসে সামরিক জান্তা। ধর্মের ভিত্তিতে ভারতকে ভাগ করে পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্রের জন্ম হয়, পূর্ব বাংলা থেকে ছিল তার হাজার মাইলের ভৌগলিক বিছিন্নতা। শুধু তাই নয়, ভাষা-সংস্কৃতির কোনো মিল ছিল না বাঙালিদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের। তা সত্তে¡ও ধর্মের উন্মাদনাকে পুঁজি করে পূর্ব বাংলাকে সঙ্গে যুক্ত করা হয় পাকিস্তানের সঙ্গে। বাঙালির ওপর চেপে বসা পাকিস্তান রাষ্ট্রের যাত্রার শুরুতেই পূর্ব বাংলার মানুষ সীমাহীন অত্যাচার, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ সব দিক থেকে বিভিন্নভাবে বৈষমের স্বীকার হয়। বঞ্চিত হতে থাকে ন্যায্য অধিকার থেকে। তবে এই পরিস্থিতিকে তখন থেকেই মেনে নেয়নি এ ভূখÐের মানুষ। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলার ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদে নামে, আন্দোলন গড়ে তুলতে থাকে। দ্রæতই এই আন্দোলন সংগ্রামগুলো একত্রিত হয়ে জাতীয় সংগ্রামে রূপ নিতে থাকে, যা স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামে পরিণত হয় এবং ’৭১ -এ রক্ষক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আর বাঙালির এই আন্দোলন-সংগ্রামকে সংগঠিত ও নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানের দুঃশাসন আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি শুরু থেকেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নামে। দানবরূপী পাকিস্তান রাষ্ট্রের শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসতে বাঙালি ধাপে ধাপে আন্দোলন গড়ে তোলে। মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সংগ্রামের পথ প্রশস্ত হয়। ’৫৪-তে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-তে শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচনসহ দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতি ১৯৭১ সালে এসে উপনীত হয়। পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসন, অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালির ধারাবাহিক আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হয়। বাঙালির এ আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমান। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে শেখ মুজিব বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ও বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) দেওয়া বক্তব্যে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। তথন থেকেই বাংলার সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা শুরু করে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান জানান। বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের। এদিকে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের উদ্যোগে নিয়েছে জেলা প্রশাসস ও জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আজ হবিগঞ্জ শহরের নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হবে। একই সাথে সরকারী-আধা সরকারী, স্বায়ত্তশায়িত ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭ টায় দুর্জয় হবিগঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট স্থানে পুস্পস্তবক অর্পণ, সাড়ে ৮ টায় জালাল স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন, সাড়ে ১০ টায় বালকাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সকাল ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া দিনটি উপক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।