বার্তা সম্পাদক :
www.nabiganjerdak.com
www.tribute71.com
সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশের অভিযানিক শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হলেন মাহমুদুল হাসান । তিনি জেলার গুরত্বপূর্ণ উপজেলা লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ ক্যাম্পে এ এস আই হিসেবে কর্মরত। ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ ক্যাম্পে এক সভায় তাকে জেলার অভিযানিল শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে নির্বাচিত করে ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ।এ উপলক্ষ্যে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরষ্কার ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন।সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ অফিস সূত্র জানায়, মাদক,সাজাপ্রাপ্তআসামি,ওয়ারেন্ট তামিল,চোরাইহওয়া মোবাইল উদ্ধার,সামগ্রিক কর্মতৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধদমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাকে অভিযানিক শ্রেষ্ঠ এ এস আই নির্বাচিত করে আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ লালা বাজার সিলেট। মাহমুদুল হাসান হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের কৃতি সন্তান। এ ব্যাপারে এএসআই মাহমুদুল হাসান জানান, পেশাগত পুরষ্কার প্রাপ্তির এ গৌরব শুধু তার নয়, এটি আমার অভিযানিক টিমের প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে তিনি এ গৌরব অর্জন করতে পেরেছেন। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানান অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান খোন্দকার ফরিদুল ইসলামকে।এ পুরষ্কার তিনি ক্যাম্পের প্রত্যেক সদস্যদের উৎসর্গ করেছেন। এ পুরষ্কার প্রাপ্তি তার পেশাগত দক্ষতায় আরো উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাবে বলে জানান তিনি।এদিকে তার এ পেশাগত সাফল্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ব্যক্তিগত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
লন্ডনের লিঙ্কন'স ইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিষ্টার বার অ্যাট-ল ডিগ্রি পেলেন নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান শাফায়েত চৌধুরী। লিঙ্কন'স ইন বিশ্ববিদ্যালয় এর ২৫ জুলাই গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ব্যারিষ্টার বার অ্যাট-ল ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন।তিনি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শাফায়েত চৌধুরী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাও গ্রামের মরহুম জহুরুল ইসলাম চৌধুরীর নাতি ও ইকবাল আহমেদ চৌধুরীর পুত্র। শাফায়েত চৌধুরীর এই কৃতিত্বে পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনরা ভীষণ খুশি। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। শাফায়েত চৌধুরীর মামাত ভাই নবীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জায়েদ চৌধুরী শাফায়েত চৌধুরীর জন্য নবীগঞ্জসহ দেশ বিদেশের সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
লন্ডনের ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি পেলেন নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান মোঃ নাসির মিয়া। ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয় এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন।তিনি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নাসির মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সমাজ সেবক লন্ডন প্রবাসী হাজ্বী মোঃ নজির মিয়ার সর্বকনিষ্ঠ ছেলে। নাসির মিয়ার এই কৃতিত্বে পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনরা ভীষণ খুশি। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় চোলাই মদ-ইয়াবাসহ পৃথকস্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ মাদক ব্যবসায়ীসহ সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক ১০জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের হলিমপুর গ্রামের কালীচরণ দাশের ছেলে সুজন রবি দাশ (৪২), মতিলাল রবি দাশের ছেলে লিটন রবি দাশ (২৬), পৌর এলাকার পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের আজিদ মিয়ার ছেলে জুবেল আহমদ (৩৫), ছমির মিয়ার ছেলে মোস্তাক মিয়া (৩১), দৌলতপুর গ্রামের আকামত মিয়ার স্ত্রী নুরুন নাহার (২৮), হরিধরপুর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে জুলেল আহমদ (৩৫), হরিনগর গ্রামের অনিল চন্দ্র দাশের ছেলে অজিত চন্দ্র দাশ (৩৫), পিটুয়া গ্রামের এরশাদ আলীর স্ত্রী জহুরা বেগম (৩৮), মৃত এরশাদ আলীর ছেলে আব্দুল মুকিত (২৫), বড় ভাকৈর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জাকারিয়া (২০)।পুলিশ জানায়- রবিবার দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ হলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮০ লিটার চোলাই মদসহ সুজন ও লিটন নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। একই সময় পৌর এলাকার জয়নগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪১ পিস ইয়াবাসহ জুবেল ও মোস্তাককে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া রবিবার রাতেই বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামী ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি বাজারের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়,মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে সিএনজি চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজিটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়।স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।অপর আহতদের চিকিৎসা প্রদান করেন। সড়ক দুর্ঘটনা নিহত ব্যক্তি হলেন,নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ছোট ভাকৈর গ্রামের মৃত তেরা মিয়া (লেচু মিয়ার) পুত্র মোঃ গেদন মিয়া (৮০)।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ।
আগামী ৯ জুলাই সিলেটের তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে নবীগঞ্জ উপজেলা পৌর যুবদলের এক প্রস্ততির সভা আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের উদ্যোগে অস্থায়ী কার্যালয়ে দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ পালন করা হয়। নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মােঃ আলমগীর মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলামিন আহমদ ও রায়হানুল বারীর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর শফিকুর রহমান সেতু, ও জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমেদ খান, মোঃ দুলাল মিয়া,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল শাহ, বানিয়াচং উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছাদিকুর রহমান লিটন, হবিগনজ পৌর যুবদলেরর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শেখ মামুন। এতে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, পৌর যুবদলের সদস্য ফুল মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া,আমির হোসেন, ও যুবদল নেতা শাকিল আহমেদ, বাচ্চু মিয়া, দিপু আহমেদ, শাহ ইব্রাহিম আলী, মোঃ অজুদ মিয়া, তারেক আহমদ, সোহেল মিয়া,রাসেল মিয়া, সুমন আহমদ, জুবায়ের আহমদ, জিয়া আহমদ, প্রমুখ। প্রধান অতিথি হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক জালাল আহমদ বলেন, এই অবৈধ সরকার পতন করতে দেরে তরুন সমাজ ভূমিকা নিতে হবে। তাই আগামী রা্ষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান দেশের প্রতিটি বিভাগে তারুন্যের সমাবেশ এর ডাক দিয়েছেন। আমরা সকলে মিলে সিলেট তারণ্যের সমাবেশ সফল করেত ৯ তারিখে সিলেটের আলিয়ার মাদ্রাসা মাঠে দলগত যাওয়ার জন্য সবাইকে আহবান জানান।
নবীগঞ্জ আইনগাও সড়কের অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। দুই বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় ৯ কিলোমিটারের সড়কটিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রী ও পথচারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবারে সরেজমিনে দেখা গেছে, নবীগঞ্জ আইনগাও সড়কের নাদামপুর, বাউশা, চৌধুরী বাজার এলাকাসহ অধিকাংশ স্থানে বড় বড় খানাখন্দ। ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলছে সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল পণ্যবাহী ট্রাক, মাহিন্দ্রাসহ ছোট-বড় যানবাহন। পথচারী এবং সাইকেল আরোহীরা প্রায়ই এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ না নেওয়ায় এসব বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। মাঝে মধ্যে ইটের খোয়া দিয়ে গর্ত ভরাটের চেষ্টা করা হলেও লাভ হয়নি। নাদামপুর এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, রাস্তা মেরামত না করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। কয়েক দিন আগে ইটের খোয়া ফেললেও তা উঠে গিয়ে আবার গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারনে নাদামপুরে রাস্তা ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। বাইসাইকেল চালক তুহিন আলম রেজুয়ান বলেন, কয়েক দিন আগে তিনি গর্ত পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়ে যান। নবীগঞ্জ আইনগাও সড়কের বেশির ভাগ স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নাদামপুর এলাকার রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করা খুব কঠিন। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানান এলাকাবাসী।
আর মাত্র কয়েকদিন তারপর মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নবীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুর,জনতার বাজার, ইনাতগঞ্জ, সৈয়দপুর বাজার, নতুন বাজার,আউশকান্দি,সৈয়দপুর, কাজির-বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসতে শুরু করছে পশুর হাটগুলো। হাটগুলো ক্রেতাদের পদ চারণায় সরগরম থাকলেও দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় অনেক ক্রেতাই দাম কমার অপেক্ষা করছেন। তবে, দুই একদিনের মধ্যে ক্রেতারা কোরবানির পশু কিনতে শুরু করবেন বলে বলে মনে করছেন হাটে পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা।সরেজমিনে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুরে পশুর হাটে ঘুরে কথা হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে করছেন এ হাটে আসা ক্রেতারা। লোক সমাগম অনেক হলেও বেচা বিক্রি জমে উঠেনি বলে জানালেন একাধিক বিক্রেতা। ঈদ যত কাছে আসছে পশুর হাটের ভিড় ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে। শেষ মুহুর্তে আরো বেশি ভিড় বাড়বে এবং রাতব্যাপী পর্যন্ত বেচা কেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বাজারগুলোতে জাল টাকা শনাক্তকরণে কোনো যন্ত্র না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।সরেজমিনে বিভিন্ন পশুর হাট-ঘুরে দেখা যায়, সম্পূর্ণ হাট ছিল গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশুতে পরিপূর্ণ। তবে দাম বেশি থাকায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি। অনেক ক্রেতাদের কোরবানির পশু না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করে কোরবানির পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। বাজারে দাম বেশি থাকায় অনেক বিক্রেতাকে ও তাদের আমদানিকৃত গরু বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। এদিকে, ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ছোঁয়ায় আরো একধাপ এগিয়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। অনেকেই স্মার্ট ফোনে ফোর-জি, থ্রি জি নেটওয়ার্কের আওতায় ইমো, স্কাইপিসহ বিভিন্ন অ্যাপ এর মাধ্যমে ভিডিও কলে বিদেশে অথবা বাড়িতে থাকা লোকজনকে গরু দেখাচ্ছেন এবং তারা ভিডিও কলে গরু দেখে দেখে পছন্দ করছেন কোনটা কিনবেন। এ ছাড়াও অনেকেই গরুর ছবি তুলে হোয়াটস আপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের শেয়ার করছেন। নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া জানান, দেশীয় গরু কিনতে বাজারে এসেছি, বাজারে দাম খুব বেশি তাই কোরবানির গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আগামী বাজারে দাম আরো কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সালামতপুর বাজারে এক গরু বিক্রেতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গরু লালন-পালন করেছি লাভের আশায়, যদি ভারতীয় গরু বাজারে না আসে তাহলে আমাদের দেশীয় গরুগুলো ন্যায্য মূল্য পাবো বলে আশাবাদী।