বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শহীদ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে কারাবন্দি করে বিএনপিকে আবারও ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেছিল। শেখ হাসিনা দেশনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি। বিএনপি আরও সু-সংগঠিত হয়েছে। জনরুষে মুখে শেখ হাসিনাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি গতকাল রবিবার দুপুরে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক বন্যায় নিহত এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রূহের মাগফেরাত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফেরাত কামনায় এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে জি কে গউছ আরও বলেছেন- দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমরা মুক্ত পরিবেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করছি। কিন্তু বিএনপি যে একটি বৃহৎ দায়িত্বশীল দল তা আবারও প্রমাণ করেছে। বিএনপি এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া মাহফিলে আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন- বিএনপিকে নিয়ে নতুন করে আবারও চক্রান্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা আপনাদেরকে চিনি এবং জানি। খেয়াল রাখবেন, আমরা যারা বিএনপি করি কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বোঁকা না। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিতে জানে, কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। মাহফিলে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু, হাজী এনামুল হক ও এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, এম জি মোহিত, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি এডভোকেট মুদ্দদ আহমেদ, বিএনপি নেতা আজম উদ্দিন, আফজাল হোসেন, মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গুলজার খান, এস এম মানিক, নজরুল ইসলাম কাউছার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, জেলা মহিলাদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমু আক্তার চৌধুরী, জেলা তারেক পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেন রানা প্রমুখ।