বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন- অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করবেন, সেই সম্পদ ফেলে চলে যাবেন, আর দুষ্ট লোকেরা সেই সম্পদ লুটেপুটে নিয়ে যাবে, বাঁধা দেয়ার লোকও থাকবে না। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। মানুষের পকেট কেটে সম্পদ বানানোর মধ্যে কোনো বাহাদুরী নেই। সৎ কর্ম করে সুটকি ভর্তা দিয়ে ভাত খান, রাত্রে আরামে ঘুম হবে। ঋণ করে মানুষের পকেট কেটে ঘি দিয়ে ভাত খেলেও রাত্রে স্বস্তির শান্তির ঘুম আসবে না।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের উদ্যোগে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রান বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
জিকে গউছ বলেন- ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হয়েছে। দেশে এখন গণতান্ত্রিক সু-বাতাস বইতে শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরক্ষেপ ভোটের আয়োজন করবেন। সেই ভোটে জনগণের সমর্থন নিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ ফেলে কাজ দিয়ে প্রমাণ হবে জনগণের ভোট হাইজেক করে হওয়া জনপ্রতিনিধি আর জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এক হতে পারে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এম ইসলাম তরফদার তনু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, রিচি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী শামছু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুজ্জামান রনি, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি ময়না মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রতন আনসারী, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন, আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কুবুত উদ্দিন, সদস্য শেখ রহমত আলী, আমির আলী, সেলিম আহমেদ, লিটন আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদত গোলাম মাহবুব প্রমুখ।